মতামত

রাষ্ট্র যখন জনগণের পাশে দাঁড়ায়

রুশাদ ফরিদী : করোনা বিপর্যয়ে পৃথিবীজুড়েই স্বাস্থ্য সংকটের পাশাপাশি একটা বিরাট অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে। সেই সংকটের মূল কারণ হচ্ছে, ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ভাটা পড়ার ফলে কর্মী ছাঁটাই, বিধিনিষেধের ফলে দিনমজুরদের কাজের অভাব। তাঁদের জন্য করোনার স্বাস্থ্য সংকট যত না কঠিন, তার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন প্রাত্যহিক জীবন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার বাস্তবতা, সোজা কথায় ক্ষুধার করাল গ্রাস। এই রকম পরিস্থিতির শিকার একজন কারও কথা ভাবি, যাঁর করোনাতে জীবিকা নির্বাহ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুই বেলা খাবার জোগাড় করা মুশকিল হয়ে গেছে। তখন রাষ্ট্র যদি সেই ব্যক্তির পাশে এভাবে এসে দাঁড়ায়, তাহলে কেমন হয়?

এই ভয়াবহ সংকটে রাষ্ট্রের সাহায্য পেতে গেলে ওই ব্যক্তিকে বিশেষ কিছু করতে হবে না। মুঠোফোন নিয়ে ব্যক্তিটিকে শুধু একটি বিশেষ নম্বরে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরসহ এসএমএস পাঠাতে হবে। তিনি সরকারি সাহায্য পাবেন কি পাবেন না, সেটি এসএমএসের মাধ্যমে জানতে পারবেন শিগগিরই। ওই খুদে বার্তাটি পাঠানোর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিছু তথ্য যাচাই-বাছাই হয়। যেমন তিনি গত ছয় মাসের মধ্যে বিদেশে ভ্রমণ করেছেন নাকি, তাঁর কোনো যানবাহন আছে নাকি, বিভিন্ন বিল, তিনি সরকারি চাকুরে কি না—এসব পরীক্ষার মধ্য দিয়ে তাঁর সাহায্য পাওয়ার সক্ষমতা যাচাই করা হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি ডিজিটাল হওয়ার কারণে প্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হতে থাকে। যদি তিনি যোগ্য হন, তাহলে তিনি একটি ফিরতি খুদে বার্তায় শুভ সংবাদটি পাবেন।

তখন তাঁকে নিকটস্থ বায়োমেট্রিক এটিএম সেন্টার থেকে টাকা তুলতে হবে। বায়োমেট্রিক পদ্ধতি হওয়ার কারণে তিনি ছাড়া আর অন্য কেউ তুলতে পারবে না।
এই পর্যন্ত পড়ে হয়তো পাঠকের মনে হতে পারে এটি উন্নত বিশ্বের কোনো দেশ। ব্যাপারটি তা নয়। যাহোক, সে প্রসঙ্গে আসছি একটু পরেই।

একটা কল্যাণমুখী রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব হলো সেই দেশের দরিদ্র, দুস্থ আর অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। যে রাষ্ট্র সে কাজটি যত ভালোভাবে করতে পারে, সেই রাষ্ট্রকে আমরা ততই কল্যাণমুখী বলি। এই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর কাজটি মূলত করা হয় সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের মাধ্যমে।

গত বছরের মার্চে যখন বিধিনিষেধের শুরু, তখন করোনা সম্বন্ধে কারও কোনো ধারণা ছিল না যে এর ব্যাপ্তি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। বিভিন্ন বিধিনিষেধের কারণ অনেক ব্যবসা বন্ধ অথবা কার্যক্রম সীমিত হয়ে যায়। লাখ লাখ মানুষ চাকরি হারিয়ে ফেলেন। তখন এই সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন রকমের কার্যক্রম হাতে নেয়। কোভিড-১৯ মহামারিতে সামাজিক নিরাপত্তার বিষয় সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে মূলত চারটি দেশের কথা বলা হয়েছে, যারা সবচেয়ে বেশি সাফল্য দেখিয়েছে।

শুরুতে যেই প্রক্রিয়ার বর্ণনা দেওয়া হলো, সেটি এই চার দেশের একটির মধ্যে হয়েছে। দেশটি হলো পাকিস্তান, যাকে প্রায়শই ব্যর্থ রাষ্ট্রের তকমা দেওয়া হয়। এই তথাকথিত ব্যর্থ রাষ্ট্র কী করে এমন একটা সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তুলল, সেটা একটা বিস্ময়ের বিষয় বইকি।

পাকিস্তানের অর্থনীতি একটা লম্বা সময় ধরেই ভালো যাচ্ছিল না। অবস্থা এমনই খারাপ হয় যে ২০১৮-তে পাকিস্তানকে আইএমএফের দ্বারস্থ হতে হয় ঋণের জন্য। একটি হিসাবে দেখা যায় যে প্রায় ৮০ লাখ লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মূল্যস্ফীতি ১৩ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ৩ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে আসে। এই রকম পরিস্থিতিতে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে পাকিস্তানের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সাবেক জনপ্রিয় ক্রিকেটার ইমরান খানের নেতৃত্বে তেহরিক-ই-ইনসাফ প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অভিষিক্ত হওয়ার পরে ইমরান খান তাঁর প্রথম ভাষণেই একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্রের কথা গড়ে তোলার কথা বলেন, যেখানে সামাজিক নিরাপত্তা হবে রাষ্ট্রব্যবস্থার একটি অন্যতম কার্যক্রম।

সেই অঙ্গীকার থেকেই ২০১৯-এর মার্চ থেকে এহসাসের কার্যক্রম শুরু হয়। দারিদ্র্য দূরীকরণের যত রকম কার্যক্রম বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছিল, সেগুলোকে একটা ছাতার নিচে এনে একটি নতুন মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়। পুরো প্রক্রিয়াটির দায়িত্বে ছিলেন সানিয়া নিশাত, যিনি পেশায় একজন ডাক্তার। এ ছাড়া তিনি একজন আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আর ইউএনের বিভিন্ন কমিটিতে ছিলেন। সানিয়া দায়িত্ব নেওয়ার শুরুতেই পরিষ্কার জানতেন যে তিনি কী চান। সেটি তিনি এক বক্তব্যে স্পষ্ট করে বলেছেন, এহসাস হচ্ছে একটা মঙ্গলময় রাষ্ট্র গড়ে তোলার জন্য একটি কার্যক্রম, যার মাধ্যমে পাকিস্তান দরিদ্র-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবে একবিংশ শতাব্দীর কারিগরিবিদ্যা ব্যবহার করে।

২০১৯-এর পুরোটা পার হলো এসব প্রস্তুতি নিয়ে, ২০২০-এর শুরুতেও সেসব কার্যক্রমই চলছিল। কিন্তু এর মধ্যে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো এসে গেল করোনা। আগেই বলা হয়েছে, পাকিস্তানের অর্থনীতি মোটামুটি তখন বেশ দুর্বল অবস্থায়। এই পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস আক্রমণ পাকিস্তানের জন্য মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে আসে। ধারণা করা হয়, এই অতিমারির কারণে প্রায় ৩০ লাখের বেশি মানুষ জীবিকা হারাবে আর আরও ২০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাবে।

কিন্তু এরপরও যখন কোভিড এল, তখন পাকিস্তান তৈরি ছিল পাকিস্তানের দরিদ্র আর অভাবী মানুষদের সাহায্য-সহযোগিতা করার জন্য। তার মূল কারণ হলো, এত অনটনের মধ্যেও সামাজিক নিরাপত্তার একটা শক্ত ভিত্তি এর মধ্যে প্রস্তুত হয়ে গেছে।

লেখার শুরুতেই এটি কীভাবে কাজ করে তার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, এই অত্যাধুনিক সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থার মূল ভিত্তি হলো বিভিন্ন ধরনের তথ্য আর ডেটাবেইসের ওপর নির্ভরশীল একটা ব্যবস্থা। এর সাফল্যের মূল কারণ হলো যে এটি দিয়ে খুব সহজে টার্গেট গ্রুপে পৌঁছে যাওয়া যাচ্ছে, যেটি এমনিতে যাওয়া যেত না। তথ্যপ্রযুক্তির ওপর নির্ভরতার কারণে স্থানীয় প্রশাসনের দুর্নীতি থেকে এটিকে দূরে রাখা সম্ভব হয়েছে।

এহসাস পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ক্যাশ ট্রান্সফারের ঘটনা। গত বছরের নভেম্বরের ৬ তারিখের হিসাব অনুযায়ী পাকিস্তানের দেড় কোটি পরিবারকে ১৭৯ বিলিয়ন রুপি দেওয়া হয়েছে। এহসাস যদিও শুধু কোভিডের সময়ে খ্যাতি লাভ করে, কিন্তু এর ব্যাপ্তি আরও অনেক বড়। যেকোনো ধরনের সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমে কাজে এই ব্যবস্থা ব্যবহার করা যেতে পারে এবং এর মধ্যে তা শুরু হয়েও গেছে।

একই রকম প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি দেওয়া ২০১৯-এর নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৫০ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রীর মধ্যে এই বৃত্তি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এই বিতরণ প্রক্রিয়া এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পুরোপুরি ডিজিটাল হয়ে গেছে। পাকিস্তানে প্রথম দিকে এহসাসের বিরুদ্ধাচরণ করার মানুষের অভাব ছিল না। তবে এই ধরনের আচরণ বেশির ভাগই নিরপেক্ষ ছিল না। তার একটা বড় কারণ হচ্ছে, এই ব্যবস্থায় দুর্নীতির সুযোগ অনেকাংশেই কমে যাওয়া।

পরবর্তীকালে এর বিশাল সাফল্যে এই স্বার্থপর বিরুদ্ধতা খড়কুটোর মতো উড়ে যায়।

এখন আসি বাংলাদেশে। বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই সামাজিক নিরাপত্তার কর্মসূচি বেশ বিস্তৃত। সেই কর্মসূচির আওতায় ১৪৫টি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি রয়েছে। তবে এসব কর্মসূচির কতটুকু কার্যকর দারিদ্র্য বিমোচনে, তা নিয়ে ওয়াকিবহাল মহল অনেক আগে থেকেই ঘোরতর সন্দিহান। এই বছরের শুরুতে জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলের মধ্যবর্তী উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে যে তথ্য উঠে এসেছে, তা রীতিমতো ভয়াবহ। এই রিপোর্ট বলছে যে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পুরো আয়োজনে অনিয়মের পরিমাণ ৪৬ শতাংশ। ২০২০-২১ সালে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৫ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা।

এই অনিয়মের মানে হচ্ছে এর অর্ধেক টাকা, মানে হলো প্রায় ৪৮ হাজার কোটি টাকাই বিফলে যাচ্ছে।

শুধু তা-ই নয়, সামাজিক নিরাপত্তার কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করতে ২০১৩ সালে ধনী-দরিদ্রদের তালিকা তৈরির প্রকল্প নেওয়া হয়। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৩২৮ কোটি টাকা। এটি ২০১৭ সালে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এ পর্যন্ত এই প্রকল্পের সময় চারবার বাড়ানোর পরও এখনো শেষ হয়নি। ব্যয় ৩২৮ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৭২৭ কোটি টাকায় ঠেকেছে। প্রকল্পের মেয়াদও বাড়িয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।

এখন অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এই বিশাল খরুচে প্রকল্প শেষমেশ কোনো ফল দিতে পারবে না। কারণ, যে পদ্ধতিতে ধনী-দরিদ্র চিহ্নিত করা হয়, সেই পদ্ধতি এই দীর্ঘসূত্রতার ফলে প্রায় অকার্যকর হয়ে গেছে বলা চলে। পরিসংখ্যান ব্যুরো যে পদ্ধতিতে ধনী-দরিদ্র নির্ধারণ করছে, তা অনেকটা এ রকম, জরিপকারীরা বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্যসংখ্যা, কক্ষের সংখ্যা, বৈদ্যুতিক সংযোগ, আলাদা রান্নাঘর এবং খাওয়ার ঘর, কী ধরনের ছাদ, টয়লেটের অবস্থা, পানির উৎস, টেলিভিশন বা ফ্রিজ আছে কি না ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছে। যেহেতু বাংলাদেশে একটা বিরাটসংখ্যক পরিবারের আয়ের তথ্য ও উৎস অজানা থাকে, তাই এসব বৈশিষ্ট্য থেকে অর্থনৈতিক অবস্থা নিরূপণ করার চেষ্টা করা হয়।

এই পদ্ধতির মূল সমস্যা হলো যে পরিবারের এসব বৈশিষ্ট্য দ্রুত পরিবর্তন হতে পারে। যেমন পরিবারের কোনো এক সদস্য যদি চাকরি পান বা বিদেশ থেকে টাকা পাঠান, তাহলে হয়তো পাঁচ-ছয় মাসের মধ্যেই নতুন টেলিভিশন আর ফ্রিজ চলে আসতে পারে। আর সে হিসেবে ২০১৭-তে নেওয়া তথ্য ২০২২-এ এসে কী কাজে লাগবে?

তবে একটা স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, সরকারও এই বিষয়গুলো বুঝতে পারছে আস্তে আস্তে। সরকার একটা ডিজিটালাইজেশন প্রসেসের মধ্য দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে, তা বোঝা যাচ্ছে। সমাজসেবা অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে প্রায় ৭৬ লাখ ভাতাভোগীকে ভাতা দেওয়া হবে। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত এমআইএসে অন্তর্ভুক্ত উপকারভোগীদের মধ্যে প্রায় ৪৫ লাখের মোবাইল ব্যাংকিং বা ডিজিটাল অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে।

এ ছাড়া আরও অনেক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম আর তথ্যসম্ভার আছে, যেগুলো কাজে লাগিয়ে এই সামাজিক নিরাপত্তাকে দুর্নীতি, অপব্যবহার থেকে মুক্ত করা যায়। মোবাইল কোম্পানিগুলোর কাছে দেশের বেশির ভাগ মানুষের ফোনের ব্যবহার সম্বন্ধে তথ্য আছে, যেগুলো থেকে কিছুটা হলেও তাঁর জীবনযাত্রার মান আঁচ করা যায়। সরকারের কাছে সঞ্চয়পত্রের একটি বিশাল ডেটাবেইস আছে বর্তমানে।

সামাজিক নিরাপত্তায় বর্তমানে একটি শক্তিশালী মতবাদ হলো যে দরিদ্রকে খুঁজে বের করার চেয়ে ধনী ব্যক্তিদের বাদ দেওয়ার কাজটি তুলনামূলকভাবে সহজ। কারণ, ধনী ব্যক্তিদের একটি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কর দেন বা দিতে বাধ্য থাকেন এবং তাঁর জীবনযাত্রার মান চিহ্নিত করা তুলনামূলকভাবে সহজ। পাকিস্তানের এহসাস কার্যক্রমের সাফল্য এখানেই যে এটি সাফল্যের সঙ্গে অবস্থাপন্নদের তালিকা থেকে বাদ দিতে পেরেছে।

করোনার এই সময়ে মানুষের ইতিহাসে একটি অভূতপূর্ব ঘটনা। বহু মানুষ অনেক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সঠিক উপায়ে এসব মানুষের পাশে দাঁড়ানো রাষ্ট্রের উচিত। এই ক্ষেত্রে পাকিস্তান একটি দারুণ উদাহরণ তৈরি করেছে। বাংলাদেশের বিশৃঙ্খল, দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ সামাজিক নিরাপত্তার কার্যক্রমকে শৃঙ্খলায় ফিরিয়ে আনতে এটি একটি কার্যকরী মডেল হিসেবে কাজ করতে পারে।

লেখক : ড. রুশাদ ফরিদী, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
মেইল : rushad.16 @gmail.com

সান নিউজ/এনএম

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

কোচিং সেন্টারে মিলল বিপুল অস্ত্র-বিস্ফোরক

রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় একটি বাড়ি থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরি সরঞ্জাম...

কোনো চাঁদাবাজকে বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

কোনো চাঁদাবাজকে বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র...

আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক শেষ, যুদ্ধ স্থগিতের ঘোষণা নেই

যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট...

‘গোপন রাজনীতি’, ছাত্রশিবির ও ডাকসু নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেস্টরুম সংস্কৃতি এবং এই কেন্দ্রিক নির্যাতন গত ১৫ বছরে ছি...

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মালয়েশিয়ার প্রভাব কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ

দীর্ঘদিনের রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা জোরদার করা...

ফের ৯৮ বাংলাদেশিকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া

ফের কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছে ৯৮ বাংলাদেশিকে। বিম...

‘গোপন রাজনীতি’, ছাত্রশিবির ও ডাকসু নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেস্টরুম সংস্কৃতি এবং এই কেন্দ্রিক নির্যাতন গত ১৫ বছরে ছি...

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মালয়েশিয়ার প্রভাব কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ

দীর্ঘদিনের রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা জোরদার করা...

কোনো চাঁদাবাজকে বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

কোনো চাঁদাবাজকে বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র...

আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক শেষ, যুদ্ধ স্থগিতের ঘোষণা নেই

যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা