নিজ বিভাগ থেকে সভাপতি নিয়োগ, বিভাগের স্থবিরতা দূর, বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকের শাস্তি পুনর্বিবেচনা ও জুলাইবিরোধী তদন্ত কমিটির জবাবদিহি নিশ্চিত— এমন দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ল অ্যান্ড ল্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে প্রশাসন ভবনের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। পরে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বললে তিনি নিজ বিভাগ থেকেই সভাপতি নিয়োগের আশ্বাস দেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের হাতে দেখা যায় নানা স্লোগানসম্বলিত প্ল্যাকার্ড— “বিভাগে সভাপতি নাই, বিভাগ চলবে কিভাবে?”, “নিজ বিভাগ থেকে সভাপতি নিয়োগ চাই”, “রাঘববোয়ালরা বাহিরে কেন?”, “তদন্ত কমিটি প্রশ্নবিদ্ধ” এবং “শিক্ষকের শাস্তির পুনর্বিবেচনা চাই” ইত্যাদি।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, জুলাইবিরোধী অবস্থানের কারণে তাদের বিভাগের সভাপতি মো. মেহেদী হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এতে বিভাগ কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। একাডেমিক কার্যক্রম সচল রাখতে দ্রুত নিজ বিভাগ থেকে সভাপতি নিয়োগের দাবি জানান তারা। পাশাপাশি বলেন, “রাঘববোয়ালদের না ছুঁয়ে চুনোপুঁটিদের বরখাস্ত করা হচ্ছে। বিভাগে শাওন নামে দুইজন শিক্ষক থাকলেও তদন্ত কমিটি জানে না কার সনদ বাতিল করতে হবে— যা তদন্ত প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।”
বর্তমানে বিভাগটিতে পাঁচজন শিক্ষক রয়েছেন— সহকারী অধ্যাপক ও সভাপতি (সাময়িক বরখাস্ত) মো. মেহেদী হাসান, সহকারী অধ্যাপক সাহিদা আখতার (কর্তব্যরত ছুটিতে), বিলাসী সাহা, বনানী আফরীন (শিক্ষা ছুটিতে) এবং সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মারুফ মীম। শিক্ষক সংকটের কারণে একাডেমিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “আগামীকাল বিভাগ থেকেই নতুন সভাপতি নিয়োগ দেওয়া হবে। সাময়িক বরখাস্ত শিক্ষকদের বিষয়ে একটি উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, জুলাই বিপ্লববিরোধী অবস্থানের অভিযোগে ল অ্যান্ড ল্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের সভাপতি মো. মেহেদী হাসানসহ ১৯ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ফলে বিভাগে সভাপতির পদ শূন্য হয়ে পড়ায় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বিভাগটির একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
সাননিউজ/আরপি