বাংলাদেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশের অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইসলাম শিক্ষা থাকলেও সেখানে কোনো প্রশিক্ষিত ধর্মীয় শিক্ষক নেই। অনেক ক্ষেত্রে অমুসলিম বা ইসলামের বিষয়ে অজ্ঞ শিক্ষকরা পাঠদান করছেন, যা মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রের জন্য দুঃখজনক। ফলে শিক্ষার্থীরা ছোটবেলা থেকেই ধর্মীয় চেতনা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।

তারা আরও বলেন, “৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি এমন উদাসীনতা মেনে নেওয়া যায় না। শিশুরা যেন সঠিকভাবে ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করতে পারে, সে জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবশ্যই ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।”
মানববন্ধনে আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ ইহসান ভূঁইয়া বলেন, “আমাদের শিশুরা প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেও নামাজ পড়ার নিয়ম বা কুরআন তেলাওয়াতের সঠিক পদ্ধতি জানে না। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় পরও এই দাবি পূরণ না হওয়া অবহেলার পরিচায়ক।”
তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে আমরা আশাবাদী ছিলাম যে তারা এই বিষয়টি গুরুত্ব দেবে। কিন্তু এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। মুসলমানদের ধর্মীয় দাবিকে অবহেলা করা মানে আগুন নিয়ে খেলা করা। প্রয়োজনে আমরা রাজপথে নেমে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করব।”
সাননিউজ/আরপি