ফরিদপুরের কলেজছাত্রী সাজিয়া আফরিন রোদেলা হত্যা মামলায় স্বামী সোহানুর রহমান সোহানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের বিচারক শামীমা পারভীন এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় অপর ৭ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলায় মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত সোহানুর রহমান সোহান বর্তমানে সুইডেনে পলাতক রয়েছেন। ইন্টারপোলের সহায়তায় তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সাজিয়া আফরিন রোদেলা (২০), ফরিদপুর শহরের আলিপুর খাঁপাড়া মহল্লার শওকত হোসেন খানের মেয়ে এবং সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের ইংরেজি বিষয়ে অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারি শহরের গোয়ালচামট মোল্লাবাড়ি সড়কের মিজানুর রহমান সেন্টুর ছেলে সোহানুর রহমান সোহানের সঙ্গে বিয়ে হয় সাজিয়া আফরিন রোদেলার। বিয়ের মাত্র দেড় মাসের মাথায় ২৭ ফেব্রুয়ারি স্বামীর বাড়ি থেকে রোদেলার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ১ মার্চ রোদেলার মা রুমানা বেগম ৮ জনের নামে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও তার স্বজনরা যৌতুকের দাবিতে রোদেলার ওপর নির্যাতন চালাচ্ছিলেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
নিহতের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে শ্বাসরোধ করে হত্যার আলামত পাওয়া যায়। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
এ মামলায় অন্যান্য আসামিরা ছিলেন—ননদ সুমি বেগম (৪৫), শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম (৬০), ভাশুর মো. সুমন (৪৫), ভাশুরের স্ত্রী রেখা বেগম (৩০), শ্বশুর মোমিনুর রহমান (৭০), ননদের স্বামী মো. হাফিজ (৫০) এবং সোহানের মামাতো ভাই মো. সাজিদ (৪৫)।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন বলেন, মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এতে প্রধান আসামি সোহান ছাড়া অন্য সকল আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট।
সাননিউজ/আরপি