কুষ্টিয়ার মিরপুরে ৭৫ জন চাষিকে পাটবীজ উৎপাদন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দিনব্যাপী উপজেলা অডিটোরিয়ামে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতায় পাট অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শওকত হোসেন ভূইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা পাট অধিদপ্তরের পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মামুনার রশিদ, পাট অধিদপ্তরের সহকারী প্রকল্প পরিচালক হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করেন উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা রাশেদ আহমেদ।
এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, দেশের কৃষিখাতে ‘সোনালি আঁশ’ পাটের গুরুত্ব ঐতিহাসিকভাবে গভীর। তবে পাট চাষে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে মানসম্পন্ন বীজের সংকট। স্বল্প ব্যয় ও কম সময়ে পাটবীজ উৎপাদন ‘নাবী পাটবীজ উৎপাদন’ পদ্ধতি, এই প্রযুক্তি যথেষ্ট টেকসই হলেও এর মূল সমস্যা জমির প্রাপ্যতা। পাটবীজ ভিত্তিক শস্যক্রম উপযোগী জমির পরিমাণ খুবই কম। তাই কৃষকরা নিজের পাটবীজের চাহিদা মেটানোর জন্য মরিচ, মুলা ও শীতকালীন সবজির সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে এবং শীতকালীন জমির চারধারে চারা রোপণ করে বীজ উৎপাদন করতে পারেন।
নাবী বীজ উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষকেরা মানসম্পন্ন বীজ প্রস্তুত করতে পারবেন, যা আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে জাতীয় পর্যায়ে বীজ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
সাননিউজ/আরপি