আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় ডারনা শহরে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বাঁধ ভেঙে আকস্মিক বন্যায় নিহতের সংখ্যা ৬০০০ পৌঁছেছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। এ সংখ্যা আরো ২-৩ গুণ বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় বন্যায় প্রাণহানিতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর ডারনায় ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের আঘাতে আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা ৬ হাজারে পৌঁছেছে বলে কর্মকর্তাদের ধারণা।
শহরটিতে বসবাস করতেন প্রায় এক লাখ মানুষ। হঠাৎ বন্যার তোড়ে সেখানে নদীপাড়ের বহুতল ভবনগুলো ধসে পড়েছে। পানিতে ভেসে গেছে বহু মানুষ, গাড়ি ও বাড়ি।
আরও পড়ুন: কৃষি মার্কেটে কোনো ফায়ার সেফটি ছিল না
বেসরকারি সংস্থা ইসলামিক রিলিফের সারাহ আবুলগাসেম বলেন, ডারনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শহরটির কমপক্ষে ৩০ শতাংশই পুরোপুরি গায়েব হয়ে গেছে। উদ্ধার কাজ এখনো শেষ হয়নি। বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
ঘটনার বর্ণনায় তিনি বলেন, যেন ছোটখাটো একটা সুনামি এসে তার চলার পথের সবকিছু ধুয়ে-মুছে নিয়ে গেছে। এতে বহু পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। কিছু কিছু ভবন পানিতে পুরোপুরি ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কৃষি মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে
তার বিশ্বাস, এ বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ গুণ না হলেও দ্বিগুণ হবেই। আবুলগাসেম আরও বলেন, মানুষ আরবিতে বলছে, এটি অনেকটা কেয়ামতের মতো। ঘটনাটি বর্ণনা করার এটাই সেরা উপায়।
এদিকে লিবিয়ার এ বিপদে গোটা বিশ্ব সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এরই মধ্যে দেশটিতে সাহায্য পৌঁছাতে শুরু করেছে।
লিবিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় তুরস্ক, আলজেরিয়া, তিউনিশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের প্লেন লিবিয়ায় অবতরণ করেছে। এগুলোতে রয়েছে চিকিৎসা সরঞ্জামসহ ওষুধ, খাদ্য ও তাবু। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এগুলো যত দ্রুত সম্ভব ডারনায় পৌঁছানো হবে।
সান নিউজ/এনজে