বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদকে সন্ত্রাসের গডফাদার আখ্যা দিয়ে চাঁদাবাজ বলেছেন নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট-সদর আংশিক) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “আমি আগে আমার বাসায় বসে এ অঞ্চলের সন্ত্রাসের গডফাদারদের নাম বলেছি। কই, আবেদ তো আজ পর্যন্ত চ্যালেঞ্জ করতে পারলেন না—কেমনে তিনি গডফাদার? তিনি আমার মন্তব্যের চ্যালেঞ্জ করলেন না কেন? আমি প্রকাশ্যে বলেছি, গোপনে বলিনি। তাঁর ভাগের চাঁদার টাকা কার মাধ্যমে কিভাবে যায় আমরা জানি।”
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদের প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার বিকেলে তিনি এসব কথা বলেন।
আবেদের কর্মজীবনের প্রসঙ্গ টেনে ফখরুল বলেন, “চাঁদাবাজি ছাড়া তাঁর সুনির্দিষ্ট পেশা কী? আমি তো প্রায় ৪০ বছর ধরে ব্যবসা করি, তিনি কী করেন? তাঁর পেশা কী? চাঁদাবাজি ছাড়া তাঁর কোনো সুনির্দিষ্ট পেশা থাকলে আপনারা আমাকে বলতে পারেন। অথবা তাঁর কোনো অনুসারী চ্যালেঞ্জ নিতে পারে—আমি চ্যালেঞ্জ করলাম, তাঁর সুনির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই। তাঁর পেশা হচ্ছে চাঁদাবাজি। এখন চাঁদাবাজি করতে করতে তিনি বড় চাঁদাবাজ-গডফাদার হয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের দলে কিছু কুচক্রী আছে, যারা দলে থেকে দলের বিরুদ্ধে রাজনীতি করে। যারা দলকে ব্যবহার করে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, লুটতরাজ চালায় এবং দলকে বিতর্কিত করে। এই কথাগুলো গত ১৪ মাস ধরে আমি বলে আসছি। এখন তারা মনে করছে, আমার রাজনীতির কারণে—আমার মনোনয়নের কারণে—এখানে চাঁদাবাজ ও গডফাদারদের জন্য এলাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সে কারণেই চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ ও অনিয়মকারীরা শঙ্কিত। চাঁদাবাজরা সামনের অবস্থান নিয়ে শঙ্কিত। এখানে কিছু চিহ্নিত কুচক্রী লোক আছে—কে কার উসকানিতে কী করছে, আমরা সব জানি। দলের শৃঙ্খলার স্বার্থে এখন তাদের নাম বলছি না। কে কাকে দিয়ে কী লেখায়, আপনারা সব বুঝে যান।”
বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, “গত ৫ আগস্টের আগে এবং পরে কোথাও কোনো অনিয়মের সঙ্গে আমি জড়িত নই। কেউ প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। বাংলাদেশে অন্ধকার জগতের কোনো ব্যবসায় আমি কখনও জড়িত ছিলাম না, এবং আমার বিশ্বাস—সুস্থ মস্তিষ্কে আর কখনও হবও না। এস আলমের ব্যবসার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমাদের কিছু রাজনৈতিক নেতা ও কুচক্রীদের সহযোগিতায় এখানে রাজনৈতিক মাঠ উত্তপ্ত করার খেলা চলছে। এর আগেও আমি বলেছি—এখানে চাঁদাবাজদের গডফাদার কে। আমি এখন সেই জায়গায় আছি। কে কার থেকে চাঁদা নেয়, চাঁদা কোথায় যায়, চাঁদার ভাগ কে পায়—আমার দলে যারা গডফাদার, তাদের তালিকা আপনাদের মাধ্যমে আমি প্রমাণ করে দেব।”
ফখরুলের ওই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পর বিষয়টি জানতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সাননিউজ/আরপি