টানা আটদিনের আন্দোলনের পর এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাতা বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়।
উপসচিব মরিয়ম মিতুর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে বাড়িভাতা দেওয়া হবে। তবে কোনো শিক্ষক ২ হাজার টাকার কম বাড়িভাতা পাবেন না, এটি সর্বনিম্ন নির্ধারিত হার।
সরকার জানিয়েছে, বিদ্যমান বাজেট সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই বাড়িভাতা পরবর্তী জাতীয় বেতনস্কেল অনুযায়ী সমন্বয় করতে হবে। এছাড়া ভাতা প্রদান করতে হবে বিদ্যমান এমপিও নীতিমালা ২০১৮ ও ২০২১ অনুযায়ী। ভাতা বৃদ্ধির কারণে কেউ কোনো বকেয়া প্রাপ্য হবেন না বলেও স্পষ্ট করা হয়েছে। সব আর্থিক বিধি-বিধান অনুসরণ করে ভাতা প্রদান করতে হবে। কোনো অনিয়ম হলে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন। প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়কে জি.ও জারি করে তার চার কপি অর্থ বিভাগে পাঠাতে হবে।
শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত আসায় তাদের মধ্যে আংশিক স্বস্তি দেখা দিয়েছে। তবে শিক্ষক নেতারা বলছেন, ৫ শতাংশ বৃদ্ধি বাস্তব চাহিদার তুলনায় খুবই কম। তাদের দাবি, বর্তমান ভাড়ার বাজারে টিকে থাকতে কমপক্ষে ২০ শতাংশ বাড়িভাতা প্রয়োজন। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেছেন, সরকারের সিদ্ধান্ত স্বাগত, তবে এটি পর্যাপ্ত নয়। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, পরবর্তী বাজেটে এই হার আরও বাড়ানো হবে।
সরকারের প্রজ্ঞাপনে আন্দোলন কিছুটা স্থির হলেও শিক্ষকদের দাবির সম্পূর্ণ সমাধান হয়নি। শিক্ষক সমাজ বলছে, বাড়িভাতা বাড়ানো ইতিবাচক পদক্ষেপ হলেও জীবনযাত্রার ব্যয় সামলাতে এটি যথেষ্ট নয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শিক্ষকদের ন্যায্য সুবিধা নিশ্চিত না হলে শিক্ষার মানেও এর প্রভাব পড়বে।
সাননিউজ/এও