আলোচনার কেন্দ্রে থাকা কনটেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়া এবার মা, স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে প্রকাশ্যে এলেন, জানালেন নিজের অবস্থান এবং ঘটনার আসল রূপ।
গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) একটি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে রিপনের বিরুদ্ধে পরিবারকে অবহেলা, স্ত্রী-সন্তান অস্বীকার এবং বাবা-মাকে না দেখার অভিযোগ উঠেছে। এরপর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয় ব্যাপক বিতর্ক, ট্রল ও সমালোচনা।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিপন মিয়া জানান, ঘটনাটি ভুল ব্যাখ্যা ও ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
বাবা-মাকে অবহেলার অভিযোগ প্রসঙ্গে রিপন বলেন:
আমি আধাপাকা ঘর বানাচ্ছি। বউ-বাচ্চা এক রুমে থাকুম, মা-বাবা আরেক রুমে থাকবেন। আমি কি তাদের দেখি না? কয় মাসে টাকা দিইনি, বলেন? স্ত্রী-সন্তান থাকা সত্ত্বেও রিপোর্টে তিনি যে বিয়ে অস্বীকার করেন, তা ছিল মজা করতে গিয়েও রাগের মাথায় বলা। অনেক আগেই ভাইসাবদের ভিডিওতে বিয়ের কথা বলছি। ওইদিন বারবার জিজ্ঞেস করায়, শেষে রেগে ত্যাড়া করে বলছি—আমি বিয়ে করি নাই।
এ বিষয়ে রিপনের মা ফাতেমা বেগম বলেন, “আশপাশের কত মানুষ কয়, “তোমার ছেলে লাখ লাখ টাকা কামাই করে, বিদেশ ঘুরে, তোমারে কী দিছে।” এরা আওয়ার পর আমি বুজ্জি না হেরা যে সাংবাদিক। মনে করছি, আমরারে সাহায্য করব আরও। আমার ছেলেও আরও উপরে উঠব। লোভে পড়ছিলাম বাপ। লোভে পড়ে কুড়াল দিয়া আমার বাপটারে (রিপন) শেষ করলাম। কত কষ্ট কইরা বড় করছি ওরে, আইজকা আমি কী করলাম। আমার তিন ছেলেই আমাদের দেখে। ছোট মাইয়াডারেও তো রিপনই পড়ায়।”
রিপন মিয়া বলেন, “ঘুম থেকে উইঠা চা স্টলে গেছিলাম, তখন কয়েকজন সাংবাদিক আইসা ক্যামেরা ধরল। মজা করতে বলল, আমি ছন্দ বলছি। পরে হঠাৎ করে পরিবার নিয়ে কটাক্ষ শুরু করে, আমি বউ-সন্তান অস্বীকার করি কিনা—এইসব প্রশ্নে মাথা গরম হইয়া যায়।” আমি গুছায়া কথা বলতে পারি না, এই কারণেই সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলি। ওনারা ভিডিওর সব কথা রাখেন নাই, কেটে-ছেঁটে প্রচার করছে।
কনটেন্ট বানানো রিপন মিয়ার শখ, জীবিকা নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভাই আমি কাঠমিস্ত্রি। ভিডিও বন্ধ করে দিমু, কিছু যায় আসে না। আল্লাহর রহমতে সব পারি। কর্ম জানা মানুষ আটকে থাকে না।
সাননিউজ/আরপি