বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) সম্প্রতি ভারতের তিনটি কাশির সিরাপ নিয়ে গুরুতর সতর্কবার্তা জারি করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, এই সিরাপগুলো ১ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল, কিন্তু এতে ব্যবহৃত ডায়াথিলিন গ্লাইকোল নামক রাসায়নিকের মাত্রা অনুমোদিত সীমার অনেক গুণ বেশি পাওয়া গেছে। এই রাসায়নিক অতিমাত্রায় গ্রহণ করলে তা মারাত্মক বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে, বিশেষ করে শিশুদের জন্য।
সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট তিনটি সিরাপ হলো-শ্রেসান ফার্মাসিউটিক্যালের কোল্ডরিফ, রেডনেক্স ফার্মাসিউটিক্যালের রেসপিফরেশ টিআর, এবং শেপ ফার্মার রিলাইফ। ডব্লিউএইচও’র পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই সিরাপগুলোতে ডায়াথিলিন গ্লাইকোলের মাত্রা অনুমোদিত সীমার ৫০০ গুণ বেশি, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
এই সতর্কবার্তার পেছনে বাস্তব অভিজ্ঞতার ভয়াবহ নজিরও রয়েছে। ২০২৫ সালের আগস্টে শ্রেসান ফার্মাসিউটিক্যালের কোল্ডরিফ সিরাপ খেয়ে ভারতেরই ১৭ শিশু প্রাণ হারায়। এমনকি এর আগে ২০২৩ সালে আরও একটি ভারতীয় কোম্পানির কাশির সিরাপ খেয়ে উজবেকিস্তান, ক্যামেরুন ও গাম্বিয়ায় ১৪১ শিশুর মৃত্যু হয়েছিল, যা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলে।
ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (CDSCO) জানিয়েছে, তারা WHO’র সতর্কবার্তা সম্পর্কে অবগত এবং বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। সংস্থাটি আশ্বাস দিয়েছে, ওষুধের গুণমান নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর ও নির্ভুল পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা রোধ করা যায়।
সাননিউজ/এও