শীতের সবজির সরবরাহ বেড়লেও দাম নিয়ন্ত্রণে নেই। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুই সপ্তাহ আগে কমতে শুরু করা সবজির দাম আবার চড়া। শিম, বরবটি, উচ্ছে, ঢ্যাঁড়শ, পটোল, ফুলকপি ও বাঁধাকপিসহ বেশির ভাগ শীতকালীন সবজির কেজি দামে ২০ থেকে ৫০ টাকার মতো বৃদ্ধি ঘটেছে। শিমের দাম ৫০–৬০ টাকার পরিবর্তে ১০০–১২০ টাকায় পৌঁছেছে, বরবটি ও উচ্ছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০–৮০ টাকায়। ঢ্যাঁড়শ ও পটোলের কেজি দাম বেড়ে ৫০–৭০ টাকা এবং ফুল ও বাঁধাকপির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০–৬০ টাকায়।
অন্যদিকে কাঁচামরিচের দাম অর্ধেক কমে ১৮০–২০০ টাকা থেকে ১০০–১২০ টাকায় নেমেছে। পেঁয়াজের দামও সামান্য কমে ১০০–১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, পাতাযুক্ত নতুন পেঁয়াজ কেনা যাচ্ছে ৭০–৮০ টাকায়। নতুন আলুর দাম প্রতি কেজি ১৪০–১৫০ টাকা, পুরোনো আলু ২২–২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারদর বৃদ্ধির মূল কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা উৎপাদন এলাকায় সবজির বেশি দাম এবং ক্ষেতে বৃষ্টির কারণে কিছু গাছের ক্ষতি উল্লেখ করেছেন। কারওয়ান বাজারের আড়তদার ইদ্রিস আলি বলেন, কৃষক নতুন সবজির ভালো দাম পাচ্ছেন, এ কারণে ঢাকায় খুচরা বাজারেও দাম বেড়ে যাচ্ছে।
ডিম ও মুরগির বাজারে স্থিতিশীল অবস্থা দেখা যাচ্ছে। ফার্ম থেকে প্রতি ডজন ডিম ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, পাড়া-মহল্লায় দাম ১২৫ টাকা। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৬০–১৭০ টাকা, সোনালি জাতের মুরগির কেজি ২৬০–২৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছ-মাংসের বাজারেও তেমন পরিবর্তন নেই।
এদিকে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৫–৬ টাকা বেড়ে যেতে পারে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তবে সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। পেঁয়াজের বাজারে কমতির ধারার কারণে আমদানি না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে কৃষকের স্বার্থ রক্ষা হয় বলে কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন।
সাননিউজ/এও