সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ২০২৬ সালের হজ মৌসুমকে সামনে রেখে হজযাত্রীআ ও হজসংশ্লিষ্ট কর্মীদের জন্য নতুন স্বাস্থ্য নির্দেশিকা জারি করেছে। এতে চারটি টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যা না নিলে কেউ হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে প্রবেশ করতে পারবেন না।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বাধ্যতামূলক টিকাগুলো হলো—করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯), মেনিনজাইটিস, পোলিও ও ইয়েলো ফিভার। এসব টিকার প্রমাণপত্র আন্তর্জাতিক টিকাসনদে থাকতে হবে এবং নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে গ্রহণ করতে হবে।
কোভিড-১৯ টিকার ক্ষেত্রে সৌদি সরকার অনুমোদিত টিকা নিতে হবে। সর্বশেষ ডোজ ২০২১ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে নেওয়া থাকতে হবে এবং হজযাত্রার কমপক্ষে দুই সপ্তাহ আগে সম্পন্ন করতে হবে। মেনিনজাইটিসের টিকা সৌদি আরবে প্রবেশের অন্তত ১০ দিন আগে নিতে হবে এবং এর মেয়াদ থাকবে পাঁচ বছর।
পোলিও টিকার ক্ষেত্রে নজরদারিভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকদের হজের চার সপ্তাহ আগে টিকা নেওয়ার শর্ত দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ইয়েলো ফিভারের টিকা ৯ মাস বয়সের ঊর্ধ্বে সব হজযাত্রীর জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, যেসব ব্যক্তি গুরুতর শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন, যেমন-প্রধান অঙ্গ বিকলতা, জটিল দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা, মানসিক বা স্নায়বিক সমস্যা, উচ্চঝুঁকির গর্ভাবস্থা, সংক্রামক রোগ কিংবা ক্যানসারের চলমান চিকিৎসায় রয়েছেন-তাঁরা হজে অংশ নিতে পারবেন না।
সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হজের মতো পরিশ্রমসাপেক্ষ ইবাদতের সময় যাত্রীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে এসব শর্ত দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত টিকা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রমাণপত্র জমা না দিলে যাত্রীদের সৌদিতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে। প্রয়োজনে কোয়ারেন্টিনে রাখা বা অতিরিক্ত স্বাস্থ্য মূল্যায়ন করা হতে পারে।
বিগত কয়েক বছরের হজ আয়োজন এবং কোভিড মহামারির অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এই নির্দেশনা তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। লক্ষ্য একটাই-প্রত্যেক হাজি যেন নিরাপদ, সুস্থ ও নির্বিঘ্নে হজ পালন করতে পারেন।
সাননিউজ/এও