ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর গাজা সিটিতে পুরোনো বাসস্থানে ফিরে এসেছেন ৫ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি নাগরিক।
শনিবার (১১ অক্টোবর) গাজা সিটির সিভিল ডিফেন্স সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটির মুখপাত্র মাহমুদ বাসসাল বলেন, শুক্রবার ইসরায়েলের হামলা বন্ধ হওয়ার পরপরই বিপুল সংখ্যক মানুষ গাজা শহরের দিকে ফিরতে শুরু করেন। তিনি এএফপিকে জানান, “গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ গাজা শহরে ফিরে এসেছেন।”
গত কয়েক সপ্তাহে ইসরায়েলের ভারি বোমাবর্ষণে এলাকাটি এমন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে যা সেখানকার মানুষ কল্পনাও করেননি। দুই বছরের দীর্ঘ সংঘাতের পর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তারপরই ধ্বংসস্তূপে ঢাকা গাজা শহর আবারও মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠছে। নিজের এলাকায় ফিরছেন গাজাবাসী।
এ যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে গত মাসের শেষের দিকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর গত ২৯ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরে ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন ট্রাম্প। ওই ২০ দফা প্রস্তাব নিয়ে গত সোমবার (৬ অক্টোবর) মিশরের পর্যটন শহর শারম আল–শেখে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরাইলের প্রতিনিধিদের পরোক্ষ আলোচনা শুরু হয়।পরে তিনদিনের মাথায় বুধবার (৮ অক্টোবর) দিবাগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া প্রস্তাবের প্রথম ধাপ মানতে সম্মত হয় দুই পক্ষ।
তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (১০ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিকভাবে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি অনুমোদন করে ইসরায়েলি সরকার। একই দিন গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর এবং সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়েছে বলে জানায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ)।
সাননিউজ/আরপি