বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল, মৎস্য ভান্ডার নামে খ্যাত সুন্দরবন। এর উপকূলে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মৎস্য ঘেরের ভেড়িতে লবণাক্ত জমিতে মিষ্টি করলার বাম্পার ফলন হয়েছে। যা রাজধানী ঢাকার কাওরান বাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করা হচ্ছে। এ করলা উৎপাদনের স্থান থেকেই কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে মৎস্য ঘেরের ভেড়িতে পুরো গ্রামজুড়ে করলার মাঁচা। সবুজ পাতায় ঘেরা এই মাঁচার নিচে ঝুলছে করলা। কৃষকরা মাঁচা থেকে করলা সংগ্রহ করছেন। শুধু তাই নয়, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এই গ্রামের করলার পাইকারদের হাত ধরে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
মোরেলগঞ্জে উমাজুরি গ্রামের সফল করলা চাষী শাহজালাল বাবু বলেন, অন্যান্য ফসলের চেয়ে করলা চাষে লাভ বেশি এবং খরচ কম। জৈব সার ব্যবহার করার কারণে এখানে ফলন ভালো হয়। এ বছর ১০ বিঘা জমিতে করলাসহ বিভিন্ন জাতের চারা রোপণ করেছিলাম।
সবজি উৎপাদনে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে সফলতা পেয়েছে বলে মনে করছে কৃষক ও কৃষি বিভাগ। ফলে ভালো উৎপাদনের পাশাপাশি মোরেলগঞ্জে গড়ে উঠেছে সবজির বাজার। সারা বছরই মোরেলগঞ্জে সবজির আবাদ হয়।
বাগেরহাট রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির বলেন, কৃষককে সার, বীজ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন সময় সহযোগিতা করে কৃষি বিভাগ। বিভিন্ন সীড কোম্পানির পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে সার ও বীজ দিয়ে কৃষকদের সহযোগিতা করতে হবে।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা মোরেলগঞ্জে এসে করলা কিনে ট্রাকযোগে সরবরাহ করছেন। ফলে স্থানীয় কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন এবং কৃষিপণ্য দেশের বড় বাজারে পৌঁছাচ্ছে।
সাননিউজ/আরআরপি