নিজস্ব প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা দাড়িয়াপুর ইউনিয়নে সালিশ-বৈঠকে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অনশনরত এক তরুণী।
বুধবার (৪ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী আসিফ জানান, সখীপুর উপজেলার দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের ফাইলা পাগলার মাজার এলাকার মৃত মোজাফ্ফর মিয়ার ছেলে হলেন আবদুর রহিম মিয়া। তার সঙ্গে গাজীপুর চৌরাস্তায় একটি এনজিওতে চাকরির সুবাদে পরিচয় হয় ওই তরুণীর। তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। ২০১৭ সালের ৩ আগস্ট ৭ লাখ টাকা দেনমোহরে তারা নিজেরা বিয়ে করেন। সেই থেকে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে গাজীপুর চৌরাস্তার ভাওয়াল কলেজ সংলগ্ন আক্কাছ আলীর বাসায় ভাড়া থাকতেন।
কিন্তু কিছুদিন আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রহিম বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি দাড়িয়াপুরে চলে আসেন। এরপর থেকেই তাকে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করেন রহিম। ৩১ জুলাই স্ত্রীর অধিকার আদায়ে কাবিননামা এবং বিষের বোতল হাতে নিয়ে স্বামীর বাড়ির দরজার সামনে অনশন শুরু করেন তরুণী। তখন রহিম ও তার পরিবারের লোকজন বাড়িঘরে তালা ঝুলিয়ে অন্য জায়গায় পালিয়ে যান।
বুধবার (৪ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি মীমাংসার জন্য উপজেলার দাড়িয়াপুর আবাদি বাজার এলাকায় স্থানীয়ভাবে সালিশ-বৈঠক বসে। এতে দুপক্ষের লোকজন উপস্থিত ছিল। মেয়ে পক্ষকে ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা দেয়ার বিষয়ে উপস্থিত উভয়পক্ষের সম্মতিতে তাদের ছাড়াছাড়ির সিদ্ধান্ত হয়। ১ লাখ টাকা নগদ পরিশোধ করে বাকি টাকা দিতে ১০ দিনের সময় চান রহিম। উভয়পক্ষই এ সিদ্ধান্ত মেনে নেয়।
এ সময় ওই তরুণী হঠাৎ বিষের বোতল বের করে নিজের মুখে ঢেলে দেন। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে সাইদুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘সালিশ-বৈঠকে অনশনরত নারী বিষপান করেছেন এমন খবর তাদের জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন তারা।
সান নিউজ/ এমবি