নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের খলিফারহাট বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগে, একই বাজারে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল।
সংঘর্ষের এ ঘটনায় আহতরা হলেন: যুবদল কর্মি মো. সিরাজ (৩৮), সবজি বিক্রেতা মো. গাজী আলম (৪৫), সিএনজি চালক মো. সিরাজ (৩৫), মো. শাহজাহান (২৫), পথচারী হিমেল (৩০)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খলিফারহাট বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, গত মঙ্গলবার বিকেলে খলিফারহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলা নিয়ে কিছু ছেলে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় বহিস্কৃত বিএনপি নেতা নুরুল আমিনের অনুসারী সুরুজ ছেলেদের মারধর করেন। ছোট ছোট ছেলেদের মারধরকে কেন্দ্র করে একই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় খলিফারহাট বাজারে যুবদল কর্মি সিরাজের সঙ্গে সুরুজের বিরোধ দেখা দেয়।
একপর্যায়ে সুরুজ খলিফারহাট বাজারে ফাঁকা গুলি ছুড়ে সবজি বিক্রেতা গাজী আলম আহত হন। এ ঘটনার জের ধরে বুধবার সকাল ১০টার দিকে সুরুজ ফের তার লোকজন নিয়ে খলিফারহাট বাজারে হামলা চালান। ওই সময় তারা যুবদল কর্মি সিরাজ ও পথচারী হিমেলকে বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেন। এই সময় যুবদল কর্মি সিরাজের অনুসারীদের হামলায় প্রতিপক্ষের মো. শাহজাহান নামের এক যুবকও আহত হন। গুরুতর আহত গাজী আলম, সিরাজ ও হিমেলকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার বিএনপি নেতা নুরুল আমিন ও তার অনুসারী সুরুজের মুঠোফোনে কল করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো ও সদস্য সচিব হারুনুর রশিদ আজাদ-এর মুঠোফোনেও একাধিকবার কল করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
ছররা গুলিতে ব্যবসায়ী আহত হওয়া ও বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, “ব্যবসায়ী নেতার ছররা গুলিতে ব্যবসায়ী আহত হওয়ার দাবি করতে পারে। তবে তদন্ত ছাড়া এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে গতকাল ২-৩ জন আহত হয়েছেন।”
সাননিউজ/আরপি