কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জুলাই বিরোধী শক্তির আস্ফালনের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
রবিবার (২ নভেম্বর) দুপুর দেড়টায় বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে প্রধান ফটক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে শিক্ষার্থীরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ‘একশন টু একশন, ডাইরেক্ট একশন’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘দালালদের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশন’—এসব স্লোগান দেন।
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নুরউদ্দীন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কতিপয় শিক্ষক ও কয়েকজন ছাত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, কিন্তু মূল অপরাধীদের রেহাই দিয়েছে। ছাত্রলীগের সভাপতির নাম বাদ দিয়ে চুনোপুঁটিদের বহিষ্কার করা হয়েছে। এটি আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।”
তিনি আরও বলেন, “সাবেক প্রশাসনের প্রক্টর, ট্রেজারার ও প্রো-ভিসি যারা অন্যায়ের সাথে জড়িত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অথচ কয়েকজন সহকারী প্রক্টরের ওপর দোষ চাপিয়ে প্রশাসন দায় এড়াতে চাইছে। আমরা জানতে চাই, কোন স্বার্থে ও কত টাকার বিনিময়ে এই প্রহসনমূলক বিচার চলছে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সাবেক সমন্বয়ক এস. এম. সুইট বলেন, “চব্বিশের বিপ্লবের দেড় বছর পরও আমাদের আবার রাস্তায় নামতে হচ্ছে। প্রশাসন যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তা অসম্পূর্ণ ও অপর্যাপ্ত। জুলাই আন্দোলনে শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী জড়িত থাকলেও অনেকের নাম তালিকায় নেই।”
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে হবে এবং যার যে অপরাধ, তার উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। পাশাপাশি গত ১৬ বছরের দুর্নীতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটিকেও দ্রুত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে। আমরা দেখতে চাই দুর্নীতির শ্বেতপত্র, যা দেখাবে কিভাবে শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে কিছু মানুষ সম্পদশালী হয়েছে।”
বক্তারা বলেন, “যদি তদন্ত কমিটি ও প্রশাসনের সাহস না থাকে, তবে তাদের পদত্যাগ করা উচিত। অন্য কেউ এ দায়িত্ব নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে বলে আমরা আশাবাদী।”
সাননিউজ/আরপি