সান নিউজ ডেস্ক: রিসোর্টে ১৪ ফুট আকারের একটি কুমির পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে মালদ্বীপের পর্যটন রিসোর্ট হিসেবে গড়ে ওঠা কাফু অ্যাটল বলিধুফারুর লেগুনে কুমিরটি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: মেলায় ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
মালদ্বীপের ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (এমএনডিএফ) জানায়, বিশাল কুমিরটি উপহ্রদ থেকে বন্দী করা হয়েছে। দ্বীপ থেকে ২৪ মাইল দূরে সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মালদ্বীপে সাগরে মাঝে মধ্যে যদিও কুমির দেখা যায়। তবে এখন পর্যন্ত মালদ্বীপের জলসীমায় কেউ কখনো কুমির দ্বারা আক্রান্তের শিকার হয়নি।
প্রসঙ্গত, প্রাচীনকালে মালদ্বীপ কড়ি, নারকেলের ছোবড়ার দড়ি, শুকনো টুনা মাছ, অম্বর (মাভাহারু) এবং কোকো দে মের (তাভাকাসি) এর জন্য বিখ্যাত ছিল। মালদ্বীপে এই পণ্যগুলো ভর্তি করতে স্থানীয় ও বিদেশী বাণিজ্য জাহাজ ব্যবহৃত হতো এবং এগুলো অন্যান্য দেশে নিয়ে যাওয়া হতো। আজকাল, মালদ্বীপের মিশ্র অর্থনীতি পর্যটন, মাছ শিকার এবং শিপিং এর প্রধান কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়।
মালদ্বীপের ১,১৯০ টি দ্বীপের মধ্যে, মাত্র ১৯৮ টিতে মানুষ বসবাস করে। জনসংখ্যা সমগ্র দেশ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, এবং জনসংখ্যার সবচেয়ে বড় ঘনত্ব হচ্ছে রাজধানী দ্বীপ মালেতে। পানীয় জল এবং আবাদী জমির সীমাবদ্ধতা, পাশাপাশি জনসংখ্যার অত্যধিক ভিড়ের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় মালেতে বসবাসকারী মানুষদের।
মালদ্বীপের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রধানত পর্যটন শিল্প এবং এর পরিপূরক তৃণমূল খাত, পরিবহন, বণ্টন, আবাসন, নির্মাণ, এবং সরকারের উপর নির্ভরশীল। পর্যটন শিল্পের ট্যাক্স অবকাঠামোতে চাঙ্গা হয়েছে এবং এটি কৃষি খাতে প্রযুক্তি উন্নত করতে ব্যবহার করা হয়।
সান নিউজ/এনকে