সান নিউজ ডেস্ক: ডনবাসের সোলদার এবং বাখমুত শহরকে রাশিয়ার হাত থেকে রক্ষায় যেসব অস্ত্র ও সরঞ্জাম প্রয়োজন তার সবই ইউক্রেনের সেনাদের দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
আরও পড়ুন: ইতিহাসের টার্নিং পয়েন্ট ইউক্রেন যুদ্ধ
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) রাতে এক ভিডিও বার্তায় এমন প্রতিজ্ঞা করেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, আমি জোর দিয়ে বলতে চাই যেসব ইউনিট শহরগুলো রক্ষা করছে তাদের অস্ত্রসহ সব কিছু দেওয়া হবে। কোনো বিলম্ব ও বাধা ছাড়াই এগুলো দেওয়া হবে।
ডনবাসের লবণ খনি ও সুড়ঙ্গ সমৃদ্ধ শহর সোলদারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে তুমুল লড়াই হচ্ছে। এএফপি’র এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভগিনি প্রিগোজিন দাবি করেন, সোলদার শহরের দখল নিয়েছে তার সেনারা। তবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এ দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়।
আরও পড়ুন: তিন সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত
ইউক্রেনের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী গানা মালার জানিয়েছেন, চলমান যুদ্ধে ‘সবচেয়ে তীব্র এবং কঠোর’ লড়াই হচ্ছে সোলদারে। পরিস্থিতি খুব কঠিন হলেও ইউক্রেনের সেনারা এখনো নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
তবে যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা এক বিবৃতিতে জানায়, কয়েক সপ্তাহের প্রচেষ্টায় সোলদারের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে নিয়েছে রাশিয়া।
রুশ বাহিনী যদি সোলদার পুরোপুরি দখল করতে পারে তাহলে তারা ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বাখমুত শহর থেকেও ইউক্রেনের সেনাদের হটিয়ে দিতে পারবে। এরমাধ্যমে ডনবাসের দোনেৎস্ক অঞ্চলটি তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের!
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী নিত্য পণ্যের দাম বেড়ে যায় যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই পাল্টে যেতে শুরু করে জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনীতির চেহারা। নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে রাশিয়া থেকে জ্বালানি, ভোজ্য তেল, গ্যাস ও কয়লাসহ খাদ্যশস্যের আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বিভিন্ন দেশে দেখা দিয়েছে মূল্যস্ফীতি। ৬ মাসের বেশি সময় ধরে চলছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ।
সান নিউজ/এনকে