আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দীর্ঘ প্রায় এক বছর ধরে চলছে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ। এদিকে চলমান সামরিক পরিস্থিতির আলোকে মস্কো তার শীর্ষ জেনারেলকে যুদ্ধের দায়িত্ব দিয়েছে।
আরও পড়ুন : ফের মন্দার সতর্কবার্তা বিশ্ব ব্যাংকের
বিগত কয়েক মাস ধরে যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজয়ের প্রেক্ষাপটে দেশটি তার সামরিক কমান্ড কাঠামোতে বড় ধরনের ঝাঁকুনি দিয়েছে।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সার্গেই সোইগু জানান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি জেরাসিমোভকে তাদের ভাষায় ইউক্রেনে 'বিশেষ সামরিক অভিযানের' সার্বিক কমান্ডের দায়িত্বে নিয়োজিত করেছে।
মস্কোর এই পদক্ষেপের কারণে শুধুমাত্র জেরাসিমোভকে অভিযানটির জন্য সরাসরি দায়িত্বশীলই করা হলো না, সেইসাথে 'জেনারেল আরমাগেডন' (নির্মমতার জন্য রুশ মিডিয়া তাকে এভাবে ডাকে) নামে পরিচিত জেনারেল সার্গেই সুরোভিকিনের পদাবিনতিও ঘটানো হলো।
আরও পড়ুন : মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লু আসছেন
ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানের নেতৃত্ব সম্প্রসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন শাখার মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তাও দেখা দিয়েছিল বলে জানায়।
জেনারেল সার্গেই সুরোভিকিনকে দায়িত্ব দেওয়ার তিন মাসের মধ্যে পদাবিনতিও ঘটানো হলো। তিনি এখন আরও দুই জেনারেলের সাথে জেনারেল জেরাসিমোভের সহকারীতে পরিণত হলেন। অন্য দুই জেনারেল হলেন ওলেগ স্যালিকভ ও আলেক্সি কিম।
আরও পড়ুন : সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেফতারের নির্দেশ
রুশ বাহিনী সুরোভিকিনের নিয়োগটির মাধ্যমে তাদের কৌশল পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছিল। এরপরই ইউক্রেনের অবকাঠাগত অবস্থানে দফায় দফায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হতে থাকে।
ইউক্রেন ভয়াবহ বিদ্যুৎ ও পানি সঙ্কটে পড়ে। তার এই মেয়াদের মধ্যে রুশ বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় জোরদার হয় বলে জানানো হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।
আরও পড়ুন : পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশের উন্নতি
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী নিত্য পণ্যের দাম বেড়ে যায় যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন : স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর বিদ্যুৎ পেল তেথান
এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই পাল্টে যেতে শুরু করে জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনীতির চেহারা।
নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে রাশিয়া থেকে জ্বালানি, ভোজ্য তেল, গ্যাস ও কয়লাসহ খাদ্যশস্যের আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বিভিন্ন দেশে দেখা দিয়েছে মূল্যস্ফীতি। ৬ মাসের বেশি সময় ধরে চলছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ।
সান নিউজ/এইচএন