হারুন উর রশিদ সোহেল, রংপুর : রংপুরের অধিকাংশ মাঠজুড়ে এখন সবুজের সমারোহ। কয়েক বছরের লোকসান কাটিয়ে, গত মৌসুমে আলুর দাম, উৎপাদন খরচের চেয়ে ৮ থেকে ১০ গুণ বেশি লাভ হওয়ায় এবছর বেশি জমিতে আলু চাষ করেছেন রংপুরের কৃষকরা। আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয়েছে ভালো। তবে ক্রমাগত দাম কমতে থাকায় আলু ওঠার আগেই দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষকরা।
এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, আলুর রফতানি বাড়িয়ে কৃষকরা যাতে লাভবান হয়- তারা চেষ্টা করছেন।
কৃষকরা জানান, চলতি মৌসুমে উৎপাদন বেশি হওয়ায় আলুর সংরক্ষণ নিয়ে কোল্ডস্টোরে জায়গা পাবেন কিনা এনিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা। অতিরিক্ত আলু সংরক্ষণ নিয়ে সংকটের আশঙ্কা করছেন তারা। এছাড়া পরিবহন খরচ ও শ্রমিকের মজুরি বাড়ায় বিপাকে রয়েছেন কৃষকরা।
হিমাগার মালিক সমিতি সূত্র জানায়, রংপুর জেলার ৪১টি হিমাগারের ধারণ ক্ষমতা সাড়ে ৪ লাখ মেট্রিক টনের বেশি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বলছে, চলতি বছর শুধমাত্র রংপুর জেলায় ৫৫ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এবার ১৫ লাখ মেট্রিক টনের বেশি আলু উৎপাদন হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর রংপুরের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আলী জানান, কৃষকরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে বিষয়ে সরকার ও কৃষি বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
সান নিউজ/কেটি