নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় লেখার অপেক্ষায় ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়ের সুযোগ নিয়ে আজ রোববার দুপুর সাড়ে ৩টায় নাভি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল।
রোহিত-কোহলিদের হাত ধরে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও পরের বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শিরোপা জয়ের পর এবার ভারতীয় নারী দলের নজর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপের মুকুটে। অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ফাইনালে উঠেছে—তাদের লক্ষ্যও ইতিহাস গড়া।
হারমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বে ভারতীয় দল এর আগে ২০০৫ ও ২০১৭ সালের ফাইনালে হেরেছিল। সেই দুইবারই নেতৃত্বে ছিলেন মিতালি রাজ। এবারের আসরে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে মিতালির কীর্তি ছুঁয়েছেন হারমনপ্রীত, এবার তাঁর সামনে আছে সেই ‘রাজ’ ছিনিয়ে নেওয়ার সুযোগ।
বিশ্বকাপের শুরুতে টানা তিন ম্যাচে হারের পরও ভারত ঘুরে দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে। দলনেত্রী হারমনপ্রীত বিশ্বকাপের শুরুতে বলেছিলেন, “সমর্থকদের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটানোই আমাদের লক্ষ্য।” ফাইনালে জয় পেলে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হবে।
অন্যদিকে, লরা উলভার্টের নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল, তবে রানার্সআপ হয়ে ফিরেছিল। এবার সেই ব্যর্থতা মুছে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নামছে তারা।
নারী ওয়ানডে ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ৩৪ বার—এর মধ্যে ভারত জিতেছে ২০ ম্যাচে, দক্ষিণ আফ্রিকা ১৩টিতে, আর একটি ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত। পরিসংখ্যান ভারতের পক্ষে থাকলেও ফাইনালের মঞ্চে ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন।
বিশ্ব ক্রিকেটভক্তরা তাই আজ অপেক্ষায়—কে হবে নতুন নারী বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। ভারতের জয় হলে বদলে যেতে পারে দেশটির নারী ক্রিকেটের চেহারা, যেমন ১৯৮৩ সালে কপিল দেবদের বিশ্বজয়ে বদলে গিয়েছিল পুরুষ ক্রিকেটের ইতিহাস।
সাননিউজ/এও