নিজস্ব প্রতিবেদক: আমাদের সংসদ থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করবেন না। আমি আগেও বলেছি, আমাদের ন্যায্য দাবি যদি মেনে না নেওয়া হোক। তা না হলে আমরা সংসদ থেকে বের হবো কি না, সে বিষয়ে ভাববো।
রোববার (২১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে এগারোটায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তৃতাকালে এমপি হারুন এসব কথা বলেন।
আধাঘণ্টা ধরে চলা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, মোশাররফ হোসেন, হারুনুর রশিদ ও সংরক্ষিত আসনের এমপি রুমিন ফারহানা প্রমুখ।
তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ কিছু হলে বিএনপির সংসদ সদস্যরা ‘জাতীয় সংসদ থেকে বেরিয়ে যাবেন।
হারুনুর রশিদ আরও বলেন, সেদিন সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন, তাতে স্পষ্ট বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসা প্রধানমন্ত্রীর উপর নির্ভর করছে। ৪০১ ধারার সঠিক প্রয়োগ করলে আগেই খালেদা জিয়া মুক্তি পেতেন।
এমপি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে নতুন উদ্দীপনা তৈরি হবে, তা দমনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা করতে দিচ্ছে না। ২০০৮ সালের পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ৩০ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির দণ্ড মওকুফ করেছে।
হারুনুর রশীদ বলেন, আইনমন্ত্রীর পেছন থেকে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে তাকে ডিটেক্ট করছেন, তা লজ্জাজনক। আইনমন্ত্রী সিনিয়র আইনজীবী হয়েও যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা হাস্যকর। আইনমন্ত্রী বলেছেন, বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনতে। আমরা তো এই দাবি করিনি। আমাদের দাবি, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হোক। বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হোক।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের মধ্যরাতের নির্বাচনের সংসদ আমরা যোগ দিয়েছি। প্রতিজ্ঞা করেছি জনগণের কথা বলবো। এখন জনগণের যে সংকট, গণতন্ত্রের সংকট; এই অবস্থায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে।
সান নিউজ/এনকে