আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম জামাল।
রবিবার (৯ নভেম্বর) ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের আবদুল মালেক ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে এক সংবর্ধনা ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
রফিকুল ইসলাম জামাল বলেন, “ছাত্রদের অধিকার কেহ দমিয়ে রাখতে পারেনি। ১৯৫২ সাল থেকে সকল আন্দোলনে ছাত্ররা সামনের সারিতে ছিল। যে আন্দোলনে ছাত্ররা সম্পৃক্ত হয়েছে, তা সফল হয়েছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তার পরিবারের সদস্যদের বিদেশে পুনর্বাসন করেছে। দেশের মানুষ আন্দোলন সংগ্রাম করেছে, কিন্তু তাদের পরিবারের সদস্যরা বিদেশে বসবাস করে রাজনীতি ও ব্যবসা করে গেছে। তাদের সন্তানদের দেশের সাথে কোনো আত্মীয় সম্পর্ক নেই। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। বাংলাদেশে তারা ১৭ বছর ধরে অর্থ লুট করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “পরীক্ষার সময়ে সাদা খাতায় তারা নিজেরাই নম্বর লিখে পাশ করিয়েছে। মেধা তৈরি না করে অশিক্ষিত জাতি গঠন করা হয়েছে। শেখ মুজিব একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র স্থাপন করেছিলেন। এরশাদ স্বৈরাচারের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেশ শাসন করেছিলেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মুক্তি দিয়েছেন।”
রফিকুল ইসলাম জামাল অভিযোগ করেন, “বিগত ১৭ বছরে বেগম খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের উপর রাজনৈতিকভাবে অত্যাচার চালানো হয়েছে। চিকিৎসাসেবা পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। আরাফাত রহমান কোকোকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। স্মৃতিচিহ্ন বাড়িটি ধ্বংস করা হয়েছে। একটি দল দেশকে পতাকা দিয়েছে, অপর দল ১৯৭১ সাল থেকে লুটপাট করেছে। ২০২৪ সালে ছাত্রদের অধিকার চাওয়া হলেও রাজনীতিতে তাদের রাজাকার বানানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও হাতুরী লীগ আমাদের নীপেষিত করেছে। দলের চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের বলেছেন, বিএনপির বাইরে মনোনয়ন দেবেন না।”
আবদুল মালেক ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ এহতেশামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি তালুকদার আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল হক নান্টু, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন বাচ্চু, কলেজের গভর্নিং বডির বিদ্যৎসাধী সদস্য ও আব্দুল মালেক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি রাজু আহম্মেদ, বড়ইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহ মোহাম্মদ ফারুক, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুম বিল্লাহ পারভেজ ও সদস্য সচিব সৈয়দ নাজমুল হক।
এ সময় আব্দুল মালেক ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী এবং এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বড়ইয়া ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সাননিউজ/আরপি