সান নিউজ ডেস্ক: বিয়ে হল একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি যার মাধ্যমে দু'জন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বিভিন্ন দেশে সংস্কৃতিভেদে বিবাহের সংজ্ঞার তারতম্য থাকলেও সাধারণ ভাবে বিবাহ এমন একটি প্রতিষ্ঠান যার মাধ্যমে দু’জন মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও যৌন সম্পর্ক সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে। বিবাহ মূলত একটি ধর্মীয় রীতি হলেও আধুনিক সভ্যতায় এটি একটি আইনি প্রথাও বটে।
আরও পড়ুন: শাকিরার ফিটনেস রহস্য
বিয়ের রয়েছে অনেক উপকারিতা। সাম্প্রতিক এক গবেষণা বিয়ের সঙ্গে পাকস্থলীর ক্যানসারের সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন। ৩ হাজার গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে এই গবেষণা পরিচালিত হয়। ওই রোগীদের প্রত্যেকেই ছিলেন ক্যানসারে প্রথমিক পর্যায়ে আক্রান্ত।
সম্প্রতি ‘ইনভেস্টিগেটিভ জার্নাল’এ প্রকাশিত এক গবেষণার তথ্য জানাচ্ছে, যারা অবিবাহিত বা যাদের জীবনসঙ্গী নেই তাদের ক্ষেত্রে পাকস্থলীর ক্যানসারে মৃত্যু হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।
বিবাহিত ব্যক্তিদের মধ্যে ক্যানসার হলেও রোগী দীর্ঘায়ু পেতে পারেন। চিনা বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ৭২ শতাংশ বিবাহিত পুরুষ ও নারীদের গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার ধরা পড়ার পর অবিবাহিতদের তুলনায় ৫ বছর বেশি বেঁচে থাকার সম্ভাবনা আছে।
গবেষকদের মতে, জীবনসঙ্গী পাশে থাকলে সবাই সুখ অনুভব করেন। এমনকি তিনি আপনার খেয়ালও রাখতে পারেন। অসুখ হলে ওষুধ খাওয়ানো থেকে শুরু করে অন্যান্য সেবা তার মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব। ফলে রোগী সহজে ভেঙে পড়েন না।
শরীরে কোনো রকম সমস্যা হলে যারা অবিবাহিত বা একা থাকেন তারা ততটাও গুরুত্ব দেন না। আর তাতেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
আরও পড়ুন: বয়সের ছাপ দূর করতে ঘরোয়া টিপস
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বিবাহিত তাদের ক্ষেত্রে যে কোনো রোগ আগেই ধরা পড়েছে তাই চিকিৎসা পদ্ধতিও দ্রুত চালু করা সম্ভব হয়েছে। তাই বিবাহিতদের সুস্থতার হারও বেশি। বিবাহিতরা আর্থিক ও মানসিক দু’দিক দিয়েই রোগের সঙ্গে লড়াই করার বেশি সামর্থ্য রাখে।
গবেষণায় ধরা পড়েছে, যাদের স্বামী কিংবা স্ত্রী মারা গিয়েছেন তাদের মধ্যে পাকস্থলীর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুঝুঁকির হার অনেকটাই বেশি। শরীরের প্রতি অযত্ন এর পেছনের অন্যতম কারণ।
সান নিউজ/এনকে