সান নিউজ ডেস্ক: কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। গ্রীষ্মকালীন এই ফল দেখতে আকৃতিতে বড়, রসালো কোষ ও চমৎকার। স্বাদ-গন্ধের জন্য ফলটি খুবই জনপ্রিয়। কাঁঠালের ত্বক কাঁটা কাঁটা এবং অমসৃণ। ফলটিতে রয়েছে ফাইবার, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ, কপার, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, কার্বসহ আরও অনেক পুষ্টিগুণ। আসুন জেনে নেই কাঁঠালের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ-
আরও পড়ুন: ডেউয়া ফলের উপকারিতা
১. বয়সের ছাপ দূর করে: কাঁঠাল আপনার বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করবে। এটি ত্বকের জন্য ভালো। এর মধ্যকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ সৃষ্টিকারী মুক্ত উপাদানের (ফ্রি র্যাডিক্যালস) বিরুদ্ধে লড়াই করে। প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকায় হাড়ের ক্ষয় ঠেকাতে পারে কাঁঠাল।
২. ভিটামিন এ, সি ও বি ৬: কাঁঠালে আছে নানা রকম ভিটামিন। কাঁঠাল বহুগুণসম্পন্ন। কাঁঠালে থাকা ভিটামিন এ-র কল্যাণে মাথার চুল ভালো থাকে, দৃষ্টিশক্তি বাড়ে ও চোখের সমস্যা কমে। এতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, অ্যাজমা, কাশি, সর্দি ও ক্যানসারের মতো রোগ দূর করে।
৩. শর্করার উৎস: কাঁঠালে প্রায় কোনো কোলস্টেরল নাই বললেই চলে। তাই কাঁঠাল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ। যেকোনো বয়সের মানুষ এটা খেতে পারেন। এটি শক্তির ভালো উৎস।
৪. হজমশক্তি বাড়াতে: পেটের নানা রকম পীড়া থেকে মুক্তি দিতে পারে কাঁঠাল। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং অন্ত্রের নড়াচড়া বাড়াতে সাহায্য করে। এতে যে আঁশ থাকে, তা কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
আরও পড়ুন: গরমে ত্বকের যত্ন
৫. ওজন কমায়: এতে চর্বির পরিমাণ খুব কম। তাই বেশি খেলেও ওজন বাড়ার শঙ্কা নেই। বরং পেট ভরে রেখে ওজন কমাতে সাহায্য করে কাঁঠাল।
৬. গর্ভবতীদের জন্য উপকারী: গর্ভবতী মা প্রতিদিন ২০০ গ্রাম পাকা কাঁঠাল খেলে গর্ভস্থ শিশুর সব ধরনের পুষ্টির অভাব দূর হয় এবং গর্ভস্থ সন্তানের বৃদ্ধি স্বাভাবিকভাবে হয়। এই কাঁঠালের সব থেকে বড় গুণ হচ্ছে এটি মায়ের দুধের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়।
৭. উচ্চ রক্তচাপ কমায়: কাঁঠাল পটাশিয়ামের উৎকৃষ্ট উৎস। ১০০ গ্রাম কাঁঠালে পটাশিয়ামের পরিমাণ ৩০৩ মিলিগ্রাম। এই পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এ জন্য কাঁঠাল উচ্চ রক্তচাপে উপশম করে।
সান নিউজ/এফএ