প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে কেন্দ্রীয় বিএনপির সমবায়ক বিষয়ক সম্পাদক, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছকে প্রধান আসামি করে পৃথক দু্'টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে শতাধিক নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিসিটিভি ক্যামেরার সংযোগ কেটে গরু চুরি
পুলিশ অ্যাসল্ট ও বিস্ফোরক আইনে দায়েরকৃত দুই মামলার প্রতিটিতে ৬-৭ শ’ অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (২১ আগস্ট) দুপুরে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই খোরশেদ আলম পুলিশ অ্যাসল্ট ও এসআই ওয়াহেদ গাজী বিস্ফোরক আইনের মামলায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে পদযাত্রা থেকে পুলিশের উপর অতর্কিতে হামলা চালানো হয়। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হওয়া উচিত
এতে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অজয় চন্দ্র দেবসহ কমপক্ষে ১০ পুলিশ আহত হন। আহত ওসিকে রোববার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য আহতরা হবিগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ বদিউজ্জামান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি আরো জানান, এ পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পা পিছলে গলায় ফাঁস, গাছির মৃত্যু
এদিকে সংঘর্ষে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আউয়াল আশংকাজনক অবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন।
পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম ফরিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রোববার তাকে দেখতে হবিগঞ্জ থেকে বিএনপি একটি দল যায়। তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।
এছাড়াও পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে আরো শতাধিক নেতাকর্মী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
হবিগঞ্জে বিএনপির সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের প্রতিবাদে রোববার বিকেলে আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ ও শান্তি সমাবেশ থেকে সংঘটিত বিএনপি-আ’লীগের সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি।
সান নিউজ/এইচএন