সারাদেশ

গাইবান্ধায় নদী ভাঙনে বসতভিটা হারাচ্ছে মানুষ

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি : ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়ার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে তিস্তার পানি কিছুটা কমেছে। পানি বৃদ্ধি ও কমায় এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে বসতভিটা হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে শত শত পরিবার।

আরও পড়ুন : অবশেষে ফিরছেন তামিম!

জানা যায়, গত এক সপ্তাহে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়ার খোলাবাড়ি, খলায়হারা ও উরিয়া ইউনিয়নের চরের কয়েকটি জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি বৃদ্ধিতে ব্রহ্মপুত্রের তীর ভাঙছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সুত্রে জানা যায়, ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ির তিস্তামুখ পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরে নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার, করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালি পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার কমেছে। বৃহস্পতিবার ১২টা থেকে শুক্রবার দুপুর ১২ পর্যন্ত এ পরিমাণ পানি বেড়েছে ও কমেছে।

আরও পড়ুন : ৯৬ কন্টেইনারসহ ডুবল পানগাঁও এক্সপ্রেস

ফুলছড়ি উপজেলার খলায়হারা গ্রামের নিরব মিয়া বলেন, এক সপ্তাহে এলাকার প্রায় ৩০ একর জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। তিনি প্রায় দু’বিঘা জমি হারিয়েছেন। ফসলি জমিসহ বসতভিটা নিয়ে হুমকিতে রয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাত আর ড্রেজার দিয়ে নদী খনন করায় এসব জমি বিলীন হচ্ছে। এ পর্যন্ত তিনবার ভাঙনের শিকার হয়েছেন তিনি। জিও ব্যাগ না ফেলানো হলে বসতভিটাসহ ফসলি জমি নদী গর্ভে যাবে।

ভাঙনে বসতভিটা হারিয়ে উত্তর উড়িয়া গ্রামে আশ্রয় নেওয়া কৃষক ছমির উদ্দিন বলেন, চারবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছেন। যেখানে আশ্রয় নিয়েছেন, সেটিও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পাশের গ্রাম রতনপুরের কিছু অংশে জিও ব্যাগ ফেলেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফুলছড়ির খোলাবাড়ি ও খলায়হারা গ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদে পানি দ্রুত প্রবাহিত হচ্ছে। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এ এলাকায় নদীর তীরের কিছু অংশ ভেঙে গেছে। বড় একটি অংশ ঝুঁকিতে রয়েছে।

আরও পড়ুন : পাঞ্জাবে ভারী বৃষ্টিতে ১৮ মৃত্যু

গাইবান্ধা পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলে নদ-নদীর পানি বেড়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ প্রস্তুত রয়েছে। ভাঙন এলাকাগুলো চিহৃত করা হবে। জরুরিভাবে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করা হচ্ছে। শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলার সবকটি নদ-নদীর পানি বিপদসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

সান নিউজ/এমআর

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

সাংবাদিকতায় সেরাদের অ্যাওয়ার্ড দিচ্ছে ডিএমএফ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী জুন মাসে...

ভালুকায় কৃষকদের মাঝে উন্নয়ন সহায়তা প্রদান

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকায় ২০২৩-২৪ অ...

বিশ্বকাপের দল ঘোষণা মঙ্গলবার

স্পোর্টস ডেস্ক: সব জল্পনা-কল্পনার...

এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় আত্মহত্যা

নোয়াখালীর প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সদ...

ঢাবিতে ‘আগুনমুখা’র নেতৃত্বে ফাহাদ-সামদানী

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাকিবিল্লাহ ফাহাদকে সভাপতি ও মু. তানযীম সা...

পেঁয়াজ আমদানি শুরু

জেলা প্রতিনিধি : ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি...

ইবির প্রথম বাসকে ভাস্কর্যে রূপ দেওয়ার দাবি

নজরুল ইসলাম, ইবি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বাস (কুষ্টিয়...

ফ্রান্সে প্রিজন ভ্যানে হামলা, নিহত ২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফ্রান্সে প্রিজন ভ্যানে অতর্কিত হামলা চাল...

গৃহকর্মী হত্যায় দম্পতির যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মতিঝিলে শিল্পী বেগম (১১) নামে এক...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা