জেলা প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলায় মাদক কারবারির বাড়ির পাশ থেকে রায়হান (২০) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন : অস্ত্রসহ ৫ পাহাড়ি সন্ত্রাসী আটক
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের গাদতলা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
এই ঘটনায় স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে মর্জিনা নামের ওই মাদক কারবারির বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়। নিহত রায়হান দেলদুয়ার সদর ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের পাথরাইল-গাদতলা সড়কের পাশে লোকজন একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি উদ্ধার করে। নিহত যুবকের পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিলো।
আরও পড়ুন : আওয়ামীলীগের কোমর ভেঙ্গে গেছে
স্থানীয়দের ধারণা, মাদক কিনতে এলে দর নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় মর্জিনার পরিবার ওই যুবককে হত্যা করে। ঘটনার পর থেকে মর্জিনার পরিবারের লোকজন পলাতক।
নিহতের পারিবার জানায়, রায়হান গতকাল শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, মর্জিনা একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। মাঝে মধ্যে পুলিশ তাকে আটক করে। আবার জামিনে বেড়িয়ে এসে তিনি মাদক কারবার শুরু করেন। গত ১০/১২ দিন আগেও মর্জিনাকে পুলিশ আটক করে। তার তিন ছেলে রয়েছে। তাদের নামেও মাদক কারবারের অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন : পদত্যাগ করলেন দুবলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি
দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে রায়হানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রাতে মাদক সেবন নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন : খাগড়াছড়িতে যুবলীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত
তিনি আরও জানান, মর্জিনা গত ১৫ দিন আগে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলখানায় রয়েছেন। মরদেহ দেখে উত্তেজিত লোকজন মর্জিনার বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়। নিহত রায়হানের পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সান নিউজ/জেএইচ/এইচএন