আমিরুল হক, নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুরে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে কামারপুকুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাধারণ ইউপি সদস্য পদে ভোটে কারচুপি হয়েছে। বুধবার (২৯ডিসেম্বর) দুপুরে এমন অভিযোগ তুলে নিজের বাসভবন দলুয়া চৌধুরীপাড়ায় সংবাদ সম্মেলন করেন টিউবওয়েল মার্কা প্রার্থী আমজাদ হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী আব্দুল আলীম তালা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। আমার ওয়ার্ডে নিয়ামতপুর গণসাহায্য সংস্থা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ-প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোট গ্রহণ অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে ভোট গ্রহণ শেষে গণনার সময় প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী আব্দুল আলীম প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ এক কর্মকর্তার স্ত্রীর হস্থক্ষেপে ফলাফল প্রায় এক ঘন্ট বিলম্ব করা হয়।
পরে ফলাফল পরিবর্তন করে তাকে ৮৯১ ভোটে বিজয়ী আর আমার প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা দেখানো হয় ৭৪৬টি। প্রকৃত পক্ষে আমার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৯শ’র বেশি হবে বলে আমার এজেন্ট ও কর্মী-সমর্থকরা দাবি করছেন। এছাড়া আমি বিগত দু’বারের নির্বাচিত মেম্বার ছিলাম। এ সময় এলাকার উন্নয়নে ব্যপক কাজ করেছি। এখন আমার বয়স হয়েছে। এটাই হয়তো জীবনের শেষ নির্বাচন। আমি জনগণের অনুরোধে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। জনগণ আমাকে ভোট দিলেও কারচুপির মাধ্যমে আমাকে পরাজিত করা হয়েছে। তিনি ভোট পুনরায় গণনা, কারচুপির ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আমজাদ হোসেনের এজেন্ট আশরাফুল কোরানী বলেন, ভোট গণনার সময় আমাকে দূরে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। প্রতিবাদ করলে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আমাকে শান্ত থাকতে বলেন। গণনা শেষে কৌশলে ভোটের ফলাফল পরিবর্তন করে আব্দুল আলীমকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
নীলফামারী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হয়েছে। কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের দেওয়া ফলাফলের ভিত্তিতে প্রার্থীদের বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তবে কোন প্রার্থীর নির্বাচনী ফলাফলে কোন সন্দেহ বা অভিযোগ থাকলে গেজেট প্রকাশের ৩০দিনের মধ্যে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনানে মামলা করতে পারেন।
সান নিউজ/এমকেএইচ