নিজস্ব প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ : জমে উঠেছে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনী প্রচারণা। করোনার ভয় ও প্রচণ্ড শীতকে উপেক্ষা করে ভোটারদের মন জয় করতে কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত অবধি প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা।
ভোটারদের মন জয় করতে দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রতি। চলছে মিছিল, মিটিং ও মাইকিং। ইতিমধ্যেই শহরের অলিগলি ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের প্রতীক সম্বলিত পোস্টারে। সেই সাথে মাইক যোগেও চলছে বিরামহীন প্রচারণা। ভোট চাওয়ার পাশাপাশি চলছে প্রচারপত্র বিতরণ।
১৮৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত অন্যতম প্রাচীন কিশোরগঞ্জ পৌরসভার আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য এই পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন এবং ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫৯ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ২২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ৭১ হাজার ৮৪ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩৪ হাজার ২ শত ৮৫ জন এবং মহিলা ভোটার ৩৬ হাজার ৭শত ৯৯ জন। মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ২৮টি।
পৌর এলাকার ভোটারদের মনযোগের কেন্দ্রবিন্দু এখন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীর দিকেও। নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মাঠে গণ-সংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন বর্তমান মেয়র, ছাত্রলীগের সাবেক জেলা সভাপতি পারভেজ মিয়া।
অপরদিকে, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুরুদয়াল সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ ইসরাইল মিয়াও নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তবে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে বিএনপির বিদ্রোহি প্রার্থী সরে দাড়ালেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ছাত্রলীগের সাবেক জেলা কমিটির সভাপতি শফিকুল গণি ঢালি লিমন মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন বেশ জোরে-শোরে।
এছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মো. নজরুল ইসলাম হাতপাখা এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টি থেকে মো. স্বপন মিয়া আম মার্কা প্রতীক নিয়ে মেয়র হিসাবে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।
সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে পুরো আশাবাদী আওয়ামী লীগ প্রার্থীসহ কর্মী সমর্থকরা। নির্বাচিত হলে সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করে কিশোরগঞ্জকে একটি ডিজিটাল শহরে পরিণত করা হবে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পারভেজ মিয়া।
অপরদিকে, এবার একক প্রার্থী থাকায় ও বিগত মেয়রের ব্যর্থতার কারণে ধানের শীষের পক্ষে গণ জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে দাবি করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়লাভের ব্যাপারে আশাবাদী বিএনপির কর্মী সমর্থকরা। কারচুপি ও ভোট ডাকাতির চেষ্টা করা হলে তা প্রতিহত করা হবে।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আলহাজ ইসরাইল মিয়া বলেন, নির্বাচিত হলে যানজট ও জলাবদ্ধতা নিরসনসহ পৌর এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাবেন। তবে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলেও বিগত দিনের উন্নয়ন কর্মকান্ডের বিষয়টি মাথায় রেখে দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে প্রকৃত যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দিবেন বলে জানিয়েছেন ভোটারা।
সান নিউজ/এমকে/কেটি
 
                                     
                                 
                                         
                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                     
                            