মাদারীপুর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) উত্তর রমজানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে।
উত্তর রমজানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০১৫ সালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী (অফিস সহায়ক) নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রেজাল্ট শিট বা ফলাফলপত্র দুইবার পরিবর্তন করে প্রথমে নির্বাচিত প্রার্থীকে বাদ দিয়ে দ্বিতীয় প্রার্থীকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
দুদক মাদারীপুর অফিস সূত্রে জানা যায়, ডিজির প্রতিনিধি, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং প্রধান শিক্ষক ক্ষমতার অপব্যবহার করে দ্বিতীয় প্রার্থী মো. সিপন খানকে পুনরায় প্রথম ও সুপারিশকৃত দেখান।
অভিযুক্ত নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী ১৫/০৩/২০১৬ তারিখে যোগদান করার পর থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত বেতন-ভাতা বাবদ মোট ৳১১,৮০,৭৬৪ (এগারো লক্ষ আশি হাজার সাতশ চৌষট্টি টাকা) উত্তোলন করেছেন।
এ সময় এনফোর্সমেন্ট টিম নিয়োগ সংশ্লিষ্ট মূল ফলাফল/উত্তরপত্র দুটি জব্দ করে।
এ বিষয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, মাদারীপুর-এ একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দুদক জানায়, ডিজির প্রতিনিধি ও সাবেক কর্মকর্তা মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রাক্তন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলামের সহায়তায় প্রধান শিক্ষক রমনী কান্তকে প্রভাবিত করেন।
মো. সিপন খান, নিয়োগপ্রাপ্ত অফিস সহায়ক, অবৈধ সুবিধা গ্রহণে জড়িত।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি সরকারি কর্মচারীদের ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে।
সাননিউজ/আরপি