নিজস্ব প্রতিবেদক : সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আসা যাত্রীরা। এ সময় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, ব্যাগ ও ছোট শিশুদের নিয়ে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন : সড়কে ৪০ কিলোমিটার যানজট
বুধবার (২৮ জুন) সকালে কমলাপুরে রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদযাত্রার শেষ দিনে কমলাপুরে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীর চাপ বেড়েছে।
এ দিন সকাল থেকে আন্তঃনগর ট্রেনে স্ট্যান্ডিং টিকিটের চাহিদা যেমন বেশি ছিল, কমিউটার ট্রেনেও ছিল বাড়তি চাপ। যাত্রীরা সকালের বৃষ্টি ও বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে স্টেশনে এসে পৌঁছান। বৃষ্টির কারণে অনেক যাত্রীকেই ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
আরও পড়ুন : মোহাম্মদপুরে ভবনে আগুন, নিহত ১
রাজধানীর মালিবাগ থেকে আসা শাহরিয়ার আলম জানান, সকালে স্টেশনে আসার জন্য বের হওয়ার সময়ই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টির মধ্যে সিএনজিও পাচ্ছিলাম না। শেষে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে সিএনজিতে স্টেশনে এসেছি।
রাজারবাগ থেকে আসা মমিনুল মন্ডল জানান, বৃষ্টিতে ভিজে স্টেশনে আসতে হয়েছে। গ্রামে পরিবারের সাথে ঈদ করতে যাবো। ট্রেন ধরতে না পারলে বাড়ি যাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। যাতে ট্রেন মিস না হয় তাই বৃষ্টির মধ্যেই বের হয়েছি।
আরও পড়ুন : জাতীয় ঈদগাহে প্রস্তুতি সম্পন্ন
অপর যাত্রী নাজনিন বেগম জানান, ঈদ করতে পরিবার নিয়ে গ্রামে যাচ্ছি। ট্রেনে গেলে ভোগান্তিটা কম হয়। কিন্তু আজ সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ছোট বাচ্চা নিয়ে বৃষ্টির মধ্যে স্টেশনে আসতে কষ্ট হয়েছে।
বংশাল থেকে ছোট শিশুকে নিয়ে আসা রিনা আক্তার জানান, বৃষ্টির কারণে বাচ্চাকে নিয়ে সিএনজিতে এসেছি। ভাড়া বেশি নিয়েছে। তারপরও কিছু করার নেই, ঈদ করতে বাড়িতে তো যেতে হবে।
আরও পড়ুন : সংবিধানের একচুলও ব্যত্যয় হবে না
প্রসঙ্গত, আজ রাজধানীর ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৩৯ জোড়া ট্রেন চলাচল করছে। এছাড়া ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে লালমনি স্পেশাল ও পঞ্চগড় স্পেশাল ছেড়ে যাচ্ছে। আজ ৮ টি কমিউটার ট্রেন চলছে। এতে এবারের ঈদে প্রায় ১ লাখ যাত্রী ট্রেনে বাড়ি ফিরতে পারছে।
সান নিউজ/এনজে