লাইফস্টাইল ডেস্ক : গভীর ঘুম আমাদের সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করেও ভালো ঘুম সম্ভব হয় না। ঘুমের সমস্যা হলে তা কেন হচ্ছে সেই কারণ খুঁজে বের করতে হবে। এতে সমাধান সহজ হবে।
আরও পড়ুন : মরিচ কেটে হাত জ্বালা করলে করণীয়
ঘুম গভীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব রাখে। গভীর ঘুম স্মৃতিশক্তি একত্রীকরণ, হরমোন নিয়ন্ত্রণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং সামগ্রিক সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এক সাক্ষাৎকারে দ্য স্লিপ কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা প্রিয়াঙ্কা সালোট বলেন, নিখুঁত জীবনযাপনের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম বা সঠিক খাওয়ার দিকে মনোনিবেশ করা অপরিহার্য। এদিকে অনেকে গুরুত্ব দিলেও বেশিরভাগ মানুষ আরেকটি বিষয় ভুলে যায়। সেটি হলো ভালো ঘুম। আমাদের এমন অভ্যাস গড়ে তোলার প্রয়োজন, যা আমাদের আরও ভালো এবং গভীর ঘুমে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন : গরমে পেটে সমস্যায় করনীয়
তিনি কিছু পরামর্শ দিয়েছেন, যা আপনি আপনার প্রতিদিনের রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এতে আপনার ঘুম ভালো হবে এবং প্রতিদিন নতুন করে প্রাণশক্তি পাবেন।
জেনে নিন ভালো ঘুমের জন্য আপনার করণীয়-
(১) নিয়মিত ঘুমের রুটিন থাকাই গভীর ঘুমের চাবিকাঠি। ঘুমাতে যাওয়ার এবং জেগে ওঠার জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন। ঘুম গভীর হলে তা আপনাকে যথেষ্ট বিশ্রাম দেবে এবং সারা দিনের জন্য উৎফুল্ল রাখবে। সেক্ষেত্রে মন এবং শরীরকে শান্ত করতে সাহায্য করার জন্য গভীর শ্বাস, ধ্যান বা যোগের মতো বিষয়গুলোও অনুসরণ করতে পারেন।
আরও পড়ুন : ঠান্ডা পানি কি ক্ষতিকর?
(২) শান্ত পরিবেশের পাশাপাশি বিছানা, বালিশ এবং কমফোটারের গুণমানও ঘুমকে প্রভাবিত করে। শরীর এবং প্রয়োজন অনুসারে কাস্টমাইজ করে নেওয়া সঠিক বিছানা এবং ঘুমের আনুষাঙ্গিকগুলো থাকা গুরুত্বপূর্ণ। তা্ই বিছানা বা বালিশ নির্বাচনের সময় এদিকে খেয়াল রাখুন। পছন্দের পাশাপাশি সেগুলো আরামদায়ক এবং স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক কি না, সেদিকেও খেয়াল রাখুন।
(৩) ক্যাফেইন, নিকোটিন এবং অ্যালকোহলের মতো উদ্দীপক গ্রহণ করা, বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে এগুলো গ্রহণ করলে তা ঘুমকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এগুলো সার্কাডিয়ান রিদমে ব্যাঘাত ঘটায় এবং ঘুমিয়ে থাকাকে কঠিন করে তোলে।
আরও পড়ুন : গাছপাকা আম চেনার উপায়
(৪) বিছানায় যাওয়ার আগে ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ এটি অস্বস্তি এবং হজমের সমস্যা করতে পারে। ফলে ঘুমের চক্র ব্যাহত হয়।
(৫) ঘুমাতে যাওয়ার আগে ইলেকট্রনিক ডিভাইস এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। কারণ ডিভাইস থেকে নির্গত নীল আলো ঘুমে ব্যাঘ্যাত ঘটাতে পারে। আপনার শোবার ঘরটিতে ঘুমের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করে রাখুন। ঘরটিকে শীতল, শান্ত এবং অন্ধকার রাখার চেষ্টা করুন। পাশাপাশি একটি ভালো মানের বিছানা নির্বাচনও গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন : ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি ও করণীয়
এছাড়া আরো অনেক কিছুই রাতের ঘুমে ব্যাঘ্যাত ঘটাতে পারে। যেমন- মানসিক চাপ, পারিবারিক দায়িত্ব, অসুস্থতা ইত্যাদি।
গবেষণা অনুসারে, পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে প্রতি রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম সবার ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না। তাই সেক্ষেত্রে ঘুমের মান উন্নত করতে কিছু জিনিস করতে পারেন। যেমন : নিয়মিত সময়সূচী মেনে চলার চেষ্টা করুন, ঘুমের আগে হালকা গরম পানিতে গোসল করুন এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে ধীরে কোনো সঙ্গীত শুনতে পারেন।
আরও পড়ুন : গরমে কাঁচা আমের উপকারীতা
আপনার প্রতিদিনের রুটিনে এ টিপসগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে ঘুমের গুণমান এবং গভীরতা উন্নত করতে পারেন।
সান নিউজ/এনজে