আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউয়াই অঙ্গরাজ্যের মাউইয়েতে দাবানলের আগুন আবারও নতুন করে জ্বলে উঠেছে। সেই সাথে সেখানে নিহতের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে ।
আরও পড়ুন: জঙ্গি আস্তানা থেকে ১৩ জন আটক
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ভয়াবহ এ দাবানলের আগুনে পুড়ে ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাতে মাউইয়ে আবারও নতুন করে আগুন জ্বলার পর সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় মসজিদ ধসে নিহত ৭
স্থানীয় পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, নতুন করে জ্বলা আগুনে মাউইয়ের পূর্বাঞ্চলের কানাপালির অঞ্চল পুড়ছিল। এর আগে এ সপ্তাহের শুরুতে এই অঞ্চলটির উত্তর-পূর্বাঞ্চল আগুনে ভষ্মীভূত হয়ে যায়। তবে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে কিছু জানায়নি পুলিশ।
এমন সময় নতুন করে আবারও দাবানল সক্রিয় হলো যখন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে- কীভাবে এই আগুনের সূত্রপাত হলো এবং কীভাবে কোনো আগাম সতর্কতা ছাড়াই ঐতিহাসিক শহর লাহাইনায় এত দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ল।
হাওয়াই রাজ্যের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনা। এর আগে ১৯৬০ সালে শক্তিশালী সুনামিতে রাজ্যটিতে ৬১ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার এক বছর পরই ওই সুনামির কবলে পড়েছিল হাওয়াই।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে বন্যায় নিহত ৫
সতর্ক বার্তা দিয়েছেন উদ্ধারকারীরা, ধ্বংসস্তূপের ভেতর আরও মরদেহ পাওয়া যেতে পারে।
এদিকে ভয়াবহ দাবানলের আগুনে এক হাজারের অধিক বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে করে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুহারা হয়ে গেছেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এতই বেশি যে, এটি কাটিয়ে ওঠতে কয়েক বছর এবং কয়েক বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে।
শুক্রবার মার্কিন সিনেটর সংবাদ মাধ্যম এমএসএনবিসিকে বলেছেন, যেসব অবকাঠামো পুড়ে গেছে সেগুলোর ভেতর কেউ প্রবেশ করেনি। আর এ কারণে দুর্ভাগ্যবশত আমরা আশঙ্কা করছি মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: ফুটপাতে যমজ নবজাতকের মরদেহ
এ সিনেটর সংবাদ মাধ্যম সিএনএনের সঙ্গে অপর এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, লাহাইনা শহর দেখলে মনে হবে এখানে বোমা হামলা হয়েছে। যেটির তাপে সবকিছু গলে গেছে।’
এদিকে লাহাইনা শহরের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, তারা দাবানলের ব্যাপারে কোনো আগাম সতর্ক বার্তা পাননি। শহরের মধ্যে কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুন চলে আসে। ফলে জীবন বাঁচাতে অনেকে প্রশান্ত মহাসাগরের পানিতে ঝাঁপ দেন। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
সান নিইজ/এনজে