আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত ক্রিমিয়ায় সংখ্যালঘু মুসলিম তাতার সম্প্রদায়ের প্রতি মস্কোর আচরণের নিন্দা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
আরও পড়ুন : ভারতকে টর্পেডো দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রাজধানী কিয়েভে জেলেনস্কি প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক ইফতারের আয়োজন করেন। সেখানে রাশিয়ার কাছ থেকে ক্রিমিয়া পুনর্দখলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
২০১৪ সালে রাশিয়া কৃষ্ণসাগরের ওই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ চলাকালে দেশটি গণভোটের আয়োজন করে। গণভোটে মস্কোর দখলে থাকা ইউক্রেনের চার অঞ্চলের অধিকাংশ বাসিন্দা রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পক্ষে রায় দেন।
আরও পড়ুন : পাকিস্তানকে সৌদির ২৪ কোটি ডলার ঋণ
ইউক্রেনের মুসলিম নেতা ও মুসলিম দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের জেলেনস্কি বলেন, ক্রিমিয়া দখলের সঙ্গে সঙ্গে রাশিয়া ইউক্রেনকে দাস বানানোর প্রচেষ্টা শুরু করেছে। রাশিয়া ক্রিমিয়ার বাসিন্দা, ইউক্রেনীয় ও ক্রিমিয়ার তাতার জনগোষ্ঠীর ওপর দমন-পীড়ন চালিয়েছে।
২০১৪ সালের ভোট এ জনগোষ্ঠী বয়কট করেছিল। ক্রিমিয়ার ২০ লাখ জনগোষ্ঠীর ১২ থেকে ১৫ শতাংশ তাতার সম্প্রদায়।
আরও পড়ুন : নাইজেরিয়ায় বন্দুক হামলায় নিহত ৪৬
রুশ সরকার ক্রিমিয়ার তাতার মুসলিম সংখ্যালঘুদের ঐতিহ্যবাহী সমাবেশ মেজিসকে সেই সময় নিষিদ্ধ করে। মেজিসকে চরমপন্থি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। নিরাপত্তার কথা বলে বেশ কয়েক সদস্যকে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
জেলেনস্কি ইউক্রেনের বেশ কয়েক মুসলিম সেনাসদস্যকে পুরস্কৃত করার পর বলেন, ‘ক্রিমিয়া দখলমুক্ত করা ছাড়া ইউক্রেন বা বিশ্বের কাছে আর কোনো বিকল্প নেই। আমরা ক্রিমিয়ায় ফিরে যাব।’
আরও পড়ুন : বাজারে আসছে ক্যান্সারের ভ্যাকসিন
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে মসজিদের বাইরে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন প্রথমবারের মতো ইফতার আয়োজন শুরু করল। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন আমাদের দেশের মুসলিম ও বিশ্বের মুসলিমদের কাছে কৃতজ্ঞ।’
তুরস্ক, সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রাখতে চেয়েছে। কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে শস্য রফতানি ও বন্দী বিনিময় ইস্যুতে চুক্তিতে পৌঁছাতে এ দেশগুলো মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিয়েছে।
আরও পড়ুন : সীমান্তে শান্তি ছাড়া সম্পর্কের উন্নতি হবে না
প্রসঙ্গত, রাশিয়ায় চেচনিয়া ও দাগেস্তানের মতো দক্ষিণাঞ্চলীয় অঞ্চল থেকে আসা বড় আকারের মুসলিম সম্প্রদায় রয়েছে। ইউক্রেনে তাদের অনেকেই মস্কোর হয়ে লড়াই করছেন। সূত্র: ইউরো নিউজ
সান নিউজ/এইচএন
 
                                     
                                 
                                         
                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                     
                            