আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ১৮ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে রাশিয়া। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অবাঞ্ছিত হওয়া এ কূটনীতিকদের অবিলম্বে মস্কো ছাড়তে হবে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার সরকারের পদত্যাগ দাবি
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো থেকে কয়েক ডজন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়। এর পাল্টা জবাব হিসেবে ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে ইইউয়ের দাবি।
এর আগে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গত মার্চ মাসের শেষ দিকে সমন্বিত পদক্ষেপে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অন্তর্ভুক্ত চারটি দেশ থেকে রাশিয়ার ৪৩ কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছিল। গত ২৯ মার্চ আয়ারল্যান্ড, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস এবং চেক প্রজাতন্ত্র রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কারে এক যৌথ নির্দেশ দেয়।
এরপর সবশেষ গত ৫ এপ্রিল রাশিয়ার আরও ১৯ কূটনীতিককে বেলজিয়াম ছাড়ার নির্দেশ দেয় ইইউ। এ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক মর্যাদার সঙ্গে সাংঘর্ষিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবে এ বহিষ্কারাদেশের পর ওইদিনই রাশিয়ায় নিযুক্ত ইইউয়ের প্রধান রাষ্ট্রদূত মার্কাস এডেরারকে তলব করে তার কাছে লিখিতভাবে প্রতিবাদ জানায় মস্কো।
আরও পড়ুন: জিম্বাবুয়েতে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৩৫
এদিকে ১৮ কূটনীতিকের বহিষ্কারের নিন্দা জানিয়ে এবং রাশিয়ার এ সিদ্ধান্তকে ‘অন্যায়’ ও ‘প্রতিশোধমূলক’ আখ্যা দিয়ে ইইউ বলেছে, রুশ সরকারের নেওয়া শুক্রবারের এ সিদ্ধান্তের প্রকৃতপক্ষে কোনো ভিত্তি নেই। পাল্টা জবাব দিতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মস্কো।
পুতিন সরকার যে পথে হাঁটছে তাতে বৈশ্বিকভাবে রাশিয়া দ্রুতই আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে, রাশিয়ায় ইইউ দূতাবাস শুক্রবার এমনটিই দাবি করেছে বিবৃতিতে। তবে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ইইউয়ের সঙ্গে রাশিয়ার গত কয়েক দশকে যে দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া তৈরি হয়েছিল, তাতে ফাটল ধরানোর জন্য পুরোপুরিভাবে ইইউ দায়ী।
সান নিউজ/এমকেএইচ