ইউক্রেনের দুই অঞ্চলকে স্বাধীন ঘোষণা
আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনের দুই অঞ্চলকে স্বাধীন ঘোষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পশ্চিমা বিশ্বের সকল হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে ইউক্রেনে রুশপন্থী দুই অঞ্চলকে ‘স্বাধীন’ ঘোষণা করল রাশিয়া। এ পদক্ষেপের বিষয় ফ্রান্স ও জার্মানিকে জানিয়ে দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। সংবাদ আলজাজিরার।

২১ ফেব্রুয়ারি (সোমবার ) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সতর্কতা অগ্রাহ্য করেই এই সিদ্ধান্ত নিল রাশিয়া।

রুশ টিভি চ্যানেলে এক দীর্ঘ ভাষণে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, অবিলম্বে দোনেৎস্ক এবং লুগানস্কের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্তের প্রয়োজন।’

অপরদিকে কূটনৈতিক মহলের আশঙ্কা, এই পদক্ষেপের ফলে পশ্চিমা-সমর্থিত সরকারের সঙ্গে সঙ্ঘাত শুরু হতে পারে রাশিয়ার।

সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে পুতিন সিদ্ধান্ত নেন দোনেৎস্ক ও লুগানস্ককে স্বাধীন ঘোষণা করা হবে। ওই বৈঠকে পুতিন বলেন, ‘আপনাদের সবার মতামত জানলাম। আজই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

ক্রিমলিন এক বিবৃতিতে জানায়, পূর্ব ইউক্রেনের দুই রুশপন্থী অঞ্চলকে স্বাধীন হিসাবে ঘোষণা করতে যাচ্ছেন পুতিন। অদূর ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে লিখিত নির্দেশ দেবেন তিনি।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও জার্মানির চ্যান্সেলার ওলাফ শলৎসকে নিজের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন পুতিন। কিন্তু টেলিফোনে দুই দেশের প্রধানই অসম্মতি প্রকাশ করেছেন। তার মধ্যেই দুই অঞ্চলকে স্বাধীন হিসেবে ঘোষণা করেন পুতিন।

ক্রিমলিনে রুশপন্থী নেতাদের সঙ্গে চুক্তি সাক্ষর করতে দেখা যায় পুতিনকে। দীর্ঘ ভাষণের পর পুতিন রাশিয়ার সংসদের উচ্চ কক্ষকে এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করতে বলেন। পাশাপাশি, ইউক্রেনে রুশপন্থীদের বিরুদ্ধে সরকারের সামরিক অভিযান বন্ধ করার কথা বলে পুতিনের হুশিয়ারি দেন।

পুতিন বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে সামরিক অভিযান বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায়, রক্তপাতের দায় সম্পূর্ণ ভাবে ইউক্রেনের ক্ষমতায় থাকা সরকারের উপরে বর্তাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আধুনিক ইউরোপের সম্পূর্ণ রূপকার শুধু রাশিয়াই।’

আরও পড়ুন: নেপালে মার্কিন বিরোধী বিক্ষোভ-সংঘর্ষ

এই স্বীকৃতি দীর্ঘ টানাপড়েনের অবসান ঘটাবে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ। কারণ, ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমায়াকে দখল করার পর বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপে প্রায় ১৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

ফলে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলির সঙ্গে শান্তিচুক্তি শেষ হল এবং ইউক্রেন অঞ্চলে সেনাও পাঠাতে পারবে রাশিয়া। দুই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ, যাদের কাছে রাশিয়ার পাসপোর্ট রয়েছে, তাদের সুরক্ষার্থে এই পদক্ষেপ বলে ব্যাখ্যা দিতে পারেন পুতিন।

আরও পড়ুন: ইউক্রেনীয়দের আশ্রয় দেবে পোল্যান্ড

ফলে ইউক্রেনের ওপর পরোক্ষ ভাবে চাপ বাড়ছে। তাদের হাতে দুটি বিকল্প। হয় দুই অঞ্চলের অধিকার ছেড়ে দিতে হবে, নয়ত রাশিয়া সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হবে।

প্রসঙ্গত, ইউক্রেন-সঙ্কটের আবহে কয়েক দিন আগে স্বঘোষিত দোনেৎস্ক পিপলস্ রিপাবলিকের জরুরি মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া একটি বিবৃতিতে বলা হয়, প্রায় ৭ লাখ মানুষকে তারা রাশিয়ার সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে। ওই অঞ্চলে ইউক্রেন গোলাবর্ষণ করছে বলে অভিযোগ করা হয়।

সান নিউজ/ এইচএন

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

উত্তরায় প্রাইভেটকারে অপহরণ; ভিডিও ভাইরালের পর গ্রেপ্তার ২

রাজধানীর উত্তরা এলাকায় চাঞ্চল্যকর অপহরণের ঘটনায় অপহরণে ব্যবহৃত একটি প্রাইভে...

আমাকে চেয়েছিলো যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী বানাতে: ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, গত সরকারের সময় তিনবার...

ভালুকায় সৌন্দর্য বাড়াতে ইউএনও’র ‘নিজ খরচে’ সবুজ বিপ্লব

ভালুকা উপজেলার পরিবেশ সংরক্ষণ ও নগর সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নি...

কালীগঞ্জে ফিল্মিস্টাইলে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

গাজীপুরের কালীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জে...

সড়কহীন ৩৪ কোটি টাকার সেতু

সেতু আছে কিন্তু সংযোগ সড়ক করা হয়নি এমন সেতু ফেনীতে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা