সান নিউজ ডেস্ক : অনন্ত জলিল বলেন, ‘আমার অ্যাকাউন্টে ৫-১০ হাজার টাকা আছে কিনা আমি জানি না। আমি কখনও টাকা সেভিংস করি না। যত টাকা ইনকাম করেছি, সেটা দিয়ে ইন্ডাস্ট্রি বাড়িয়েছি।
আরও পড়ুন: এসএসসি সেপ্টেম্বরে, এইচএসসি নভেম্বরে
কিন্তু শনিবার (১৬ জুলাই) এই নায়ক-ব্যবসায়ী দাবি করলেন, তার অ্যাকাউন্টে খুঁজলে ৫-১০ হাজার টাকাও পাওয়া যাবে না! তিনি জানান, টাকা কখনো সঞ্চয় করেন না।
আমার ভাই যখন কোম্পানি শুরু করে তখন মাত্র ২০০ লোক কাজ করতো। আমি যখন কোম্পানিতে আসি, তখন ৪০০ লোক কাজ করতো। আর এখন সাড়ে ১২ হাজার লোক কাজ করে। ৬৪ বিঘার ওপর ফ্যাক্টরি। যতটুকু ইনকাম করি, সেটা ইনভেস্ট করি আর মানুষের কল্যাণে কাজে লাগাই। মরার পর ব্যাংক-ব্যালেন্স কারও সঙ্গে যাবে না।’
দেশের গার্মেন্টস সেক্টরের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী অনন্ত জলিল। তার ফ্যাক্টরিতে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কর্মী রয়েছে। বিশাল এই কোম্পানি পরিচালনার পাশাপাশি সিনেমায়ও কাজ করেন অনন্ত। নায়ক-প্রযোজক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।ঈদ উপলক্ষে মুক্তি পেয়েছে অনন্ত জলিলের নতুন সিনেমা ‘দিন-দ্য ডে’। তিনি বারবার বলেছেন, এই সিনেমার বাজেট ১০০ কোটি টাকার বেশি। যদিও তার এই দাবি প্রশ্নবিদ্ধ, বিতর্কিত।
কিছুদিন আগে সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যার সময় ৩০ লাখ টাকার সহযোগিতার ঘোষণা দেন অনন্ত জলিল। এর আগেও বিভিন্ন সময় তিনি মানুষকে সহযোগিতা করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই সবার ধারণা, অনন্ত অঢেল সম্পদের মালিক।
আরও পড়ুন: আমরা হলাম রেফারি
সন্তানদের জন্যও টাকা সঞ্চয়ের পক্ষে নন অনন্ত জলিল। তার পরিবার থেকে সঞ্চয়ের কথা বললেও তিনি সেটা কানে তোলেন না। অনন্তের ভাষ্য, ‘আমার পরিবারও আরিজ-আবরারের (অনন্ত জলিলের দুই ছেলে) জন্য ২-১টা ডিপোজিট করতে বলে। আমি তাদের একটাই কথা বলি, আমার বাবা আমার জন্য ডিপোজিট করেনি। আমার প্রতি ইনভেস্ট করেছে, আমাকে শিক্ষিত করেছে। আমাকে কেন আমার সন্তানদের জন্য ডিপোজিট করে যেতে হবে। তাদের তো ভাড়া বাসায় থাকতে হবে না। নিজেদের বাড়ি আছে। ওরা নিজেরা কিছু করতে না পারলে আমি দায়ী না। তাদের পড়াশোনা করানো পর্যন্ত আমার ডিউটি।’
প্রসঙ্গত, ‘দিন-দ্য ডে’ সিনেমায় অনন্তের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তার স্ত্রী বর্ষা। বাংলাদেশ-ইরানের যৌথ প্রযোজনার এই সিনেমা পরিচালনা করেছেন ইরানি নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজম। দুই দেশের অনেক শিল্পী এতে অভিনয় করেছেন। বর্তমানে দেশের শতাধিক প্রেক্ষাগৃহে চলছে সিনেমাটি।
সান নিউজ/এসআই