জেলা প্রতিনিধি : অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কবোল থেকে বাঁচতে সেন্টমার্টিনে বসত ঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছে বাসিন্দারা। খুলে দেয়া হয়েছে ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্র। লোকজনদের নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যেতে কাজ করছে সিপিপি ও রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা।
আরও পড়ুন : ‘মোখা’ মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত
শনিবার (১৩ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য খোরশেদ আলম।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সমুদ্রে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। ইতিমধ্যে বাতাসের গতিবেগ বাড়তে শুরু করেছে। তাই আমরা সেন্টমার্টিনের বিভিন্ন গ্রামের লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছি।
ইউপি সদস্য আরো বলেন, এখানে দেড় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। আমি নিজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকজনকে নিরাপদে নিয়ে আসছি।
আরও পড়ুন : ছয় জেলায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখা সেন্টমার্টিনে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। নেভি, কোস্টগার্ড, পুলিশসহ সেন্টমার্টিনে ৩৭টি সরকারি স্থাপনা রয়েছে। সেখানকার সরকারি স্থাপনাগুলো সাইক্লোন শেল্টার হিসেবে ব্যবহারের জন্য বলা হয়েছে।’
এছাড়া, সেন্টমার্টিনের সকল হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।
আরও পড়ুন : রোহিঙ্গারা যেন ছড়িয়ে না পড়ে
তিনি বলেন, ‘মোখার প্রভাবে বাতাস বেড়ে যাওয়ায় সেন্টমার্টিনের বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এখানকার প্রায় ২ শতাধিক হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। লোকজন জানমাল রক্ষায় এসব স্থাপনায় আশ্রয় নিতে পারবেন।’
এদিকে আজ (শনিবার) দুপুর থেকে এ পর্যন্ত সেন্টমার্টিন হাসপাতাল ও ডাকবাংলোতে আশ্রয় নিয়েছে ছয় শতাধিক পরিবার। পুরো হাসপাতাল ও ডাকবাংলোজুড়ে অসংখ্য নারী-পুরুষ ও শিশু রয়েছে।
সান নিউজ/জেএইচ