জেলা প্রতিনিধি : পদ্মা সেতু চালু হবার পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট হিসেবে পরিচিত রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে যানবাহনের চাপ নেই, ভোগান্তিও নেই।
আরও পড়ুন : ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস
সোমবার (১৭ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ব্যস্ততম ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ফাঁকা।
এ সময় দূরপাল্লার পরিবহন বাসও তেমন চোখে পড়ার মতো ছিল না। আগে ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত যেখানে গাড়ির সিরিয়াল থাকত, সেখানে এখন কোনো সিরিয়াল নেই। ঘাটে আসা যানবাহনগুলো সরাসরি উঠে পড়ছে ফেরিতে। ফেরিগুলোও অপেক্ষা করছে যানবাহনের জন্য।
আরও পড়ুন : প্রাণহানিতে শীর্ষে রাশিয়া
এছাড়া ঘাটের হকারদের কোনো হাকডাক নেই। কয়েকমাস ধরে ঘাট কেন্দ্রিক অধিকাংশ হোটেলও বন্ধ রয়েছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবার ঈদের আগে ও পরে ঘাটে দুর্ভোগের আশঙ্কা নেই। যাত্রীরা স্বস্তিতেই তাদের ঈদযাত্রা করতে পারবে। তবে পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকায় এই রুটে বাড়তে পারে মোটরসাইকেলের চাপ।
আরও পড়ুন : বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে দৌলতদিয়া ঘাটে দুর্ভোগ ছিল নিত্যসঙ্গী। ঈদের সময় সেই দুর্ভোগ বেড়ে যেত কয়েকগুণ। দূরপাল্লার যানবাহনগুলোকে ঘাট পার হতে অপেক্ষা করতে হতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
পদ্মা সেতু চালুর পর সে চিত্র পাল্টে গেছে। এখন ঘাটগুলোতে গাড়ির অপেক্ষায় ফেরি বসে থাকে।
আরও পড়ুন : ভারতে হিট স্ট্রোকে ১১ জনের মৃত্যু
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। এখনও ঈদযাত্রা শুরু হয়নি। তবে ২/৩ দিন পর থেকে হয়তো চাপ বাড়বে।
যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের জন্য ২০ টি ফেরি চালু থাকবে। পাশাপাশি ৩ টি ঘাটের ৬ টি পকেট চালু থাকবে বলে জানান তিনি।
সান নিউজ/এনজে