সান নিউজ ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে দুই বন্ধুর কথা-কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে দু‘পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : ইউক্রেন যুদ্ধ উন্নয়নের গতি শ্লথ করেছে
রোববার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের কুন্ডা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
রাতে সংঘর্ষে আহতরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। আহতদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
আহতরা হলেন ওমর আলী (২৮), কাজল (৪৮), জহির মোল্লা (৪৫), কাউসার (৫০), মামুন মোল্লা (৩০), লোকমান মোল্লা (৬০), সোহেল (৩৮), শামসুল হক (৪৭), সালমা (৩৫), ইকবাল (৩০), স্বপন (২২), রিয়াদ (১৭), জালাল (২৮), তাকলিক (৩৫), আহাদ (৩৭), আশাদুল (১৭)। আমিন (২০), অম্বর (২৫), নয়ন (২০), জাবেদ (১৮), আরমান (১৮), জসিম (২৬), মনির (১৭), রাসেল (১৭), শুরাফ (৪৫), জসিম (১৮), অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক (৩৫), আশুক (৩৫), হাফেজ ধন মিয়া (৫০), চুট্টু মিয়া (৩০), ইসমাইল (৩৭), রাকিব (২৩), কোশেন (৪০), আংগুর (৩০), জহির মোল্লা (৪৫)।
আরও পড়ুন : জন্মের পরই দেওয়া হবে এনআইডি
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুন্ডা গ্রামের আবদাল মিয়ার ছেলে রায়হান ও একই গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে জাবেদ দু’জনে বন্ধু। রোববার বিকেলে খেলাধুলাকে কেন্দ্র করে দু’জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা থেকে হাতাহাতি হয়।
এরই জেরে দু’জনের গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। রাত পর্যন্ত চলে এ সংঘর্ষ।
ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৩৫ জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন : অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন ৩ জন
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় জড়িত ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সান নিউজ/এইচএন