জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে বিশ্বাস করার মতো জোরালো প্রমাণ রয়েছে। গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা এবং সামরিক আগ্রাসনের ফলে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞের পেছনে ইসরায়েলের 'সম্পূর্ণ অবহেলা' রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রয়টার্সের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে গুতেরেস এ মন্তব্য করেন।
মহাসচিব বলেন, 'আমি মনে করি বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু এবং গাজার ধ্বংসের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অবহেলার সঙ্গে এই অভিযানটি যেভাবে পরিচালিত হয়েছিল, তাতে মৌলিকভাবে কিছু ভুল ছিল। যুদ্ধের ফলে গাজা ধ্বংস হয়ে গেছে। অন্যদিকে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে 'নির্মূল' করার ঘোষিত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।' দখলদার সরকারের আগ্রাসন যুদ্ধাপরাধের সমতুল্য হতে পারে কিনা, জানতে চাইলে জাতিসংঘ প্রধান বলেন, 'এই সম্ভাবনা বাস্তবে রূপ নিতে পারে বলে বিশ্বাস করার জোরালো কারণ রয়েছে।'
চলতি বছরের শুরুতেও একটি যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে ইসরায়েল, গত ২৭ মে থেকে গাজায় পৃথক সাহায্য বিতরণ উদ্যোগ শুরু করে। ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালায়। এর ফলে শত শত মানুষ নিহত হয়। সেই সঙ্গে দুর্ভিক্ষে শিশুসহ বহু মানুষের মৃত্যু হয়।
গাজার কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত ৫৯১ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ৩৬০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা ও আরও ৯২২ জনকে আহত করেছে।
এদিকে বুধবার হামাস বলেছে, তারা তাদের হাতে থাকা শেষ দুই জিম্মির একজনের মরদেহ ইসরায়েলকে ফেরত দিয়েছে। রেডক্রসের মাধ্যমে এই ‘সম্ভাব্য জিম্মির’ দেহাবশেষ গ্রহণ করার কথা নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
ইসরায়েল জানিয়েছে, সব জিম্মির মৃতদেহ ফিরে পাওয়া মাত্রই গাজার মিশর সীমান্তবর্তী রাফা ক্রসিং খুলে দেবে তারা।
হামাস এর আগেও মঙ্গলবার একটি মরদেহ হস্তান্তর করেছিল। কিন্তু পরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানায়, দেহাবশেষটি কোনও জিম্মির নয়, অন্য কারো।
সাননিউজ/আরপি