ঘোষিত যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নতুন করে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এসব হামলায় অন্তত ১৮ ফিলিস্তিনি নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
দক্ষিণ রাফাহ সীমান্তে ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামাসের পাল্টা গুলিবর্ষণে একজন ইসরায়েলি সেনা আহত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজায় শক্তিশালী প্রতিশোধমূলক অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন। এরপর থেকেই উত্তর ও দক্ষিণ গাজায় ধারাবাহিক হামলা শুরু হয়।
গাজার চিকিৎসা সূত্রের বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানায়, মঙ্গলবার উত্তর গাজা শহরের সাবরা পাড়ায় একটি আবাসিক ভবনে হামলায় চারজন নিহত হন। দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস শহরে আরও পাঁচ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারান। সর্বমোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ জনে। আহতের সংখ্যা অন্তত ৫০।
গাজার আল-শিফা হাসপাতালের পাশেও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে, যা শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা একে “বৃহৎ পরিসরের হামলা” বলে বর্ণনা করেছেন। গাজার আকাশজুড়ে ইসরায়েলি ড্রোন ও যুদ্ধবিমান টহল দিতে দেখা গেছে।
হামলার পর হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেডস ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, “ইসরায়েলের এই আগ্রাসন যুদ্ধবিরতির স্পষ্ট লঙ্ঘন। আমরা এখনো চুক্তি মেনে চলছি।”
হামাস আরও জানায়, নিখোঁজ এক ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। “যদি ইসরায়েল বড়সড় উসকানি দেয়, তাহলে গাজায় মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ ব্যাহত হবে এবং বাকি ১৩ জিম্মির মরদেহ উদ্ধারও বিলম্বিত হবে,” বিবৃতিতে বলা হয়।
এদিকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে. ডি. ভ্যান্স এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “যুদ্ধবিরতি এখনো কার্যকর রয়েছে। তবে এর মানে এই নয় যে কোথাও ছোটখাটো সংঘর্ষ হবে না। আমরা আশা করি শান্তি টিকে থাকবে।”
অন্যদিকে রাফাহ এলাকায় সংঘটিত ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছে হামাস। তারা বলেছে, ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলাই যুদ্ধবিরতির মূল চুক্তিকে বিপন্ন করেছে, এবং তারা এখনো সমঝোতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখছে।
সাননিউজ/এও