নিজস্ব প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ : দিগন্ত জোড়া হলুদের সমারোহ। চারিদিকে মাঠে ভরা সরিষা ক্ষেত। মৌ মৌ গন্ধ আর মৌমাছির গুঞ্জণে মুখরিত সরিষার খেত। হলুদ ফুলগুলোর সঙ্গেই কৃষকের স্বপ্ন। পাশাপাশি ক্ষেতের পাশে বসানো সারি সারি মৌ-বক্সে চাষ হচ্ছে মৌমাছির।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এবছর জেলায় সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৫২ হাজার ৬৮০ হেক্টর। আবাদ হয়েছে ৪৯ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে। আর এ থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭১ হাজার ১১৮ মেট্রিক টন।
মৌ চাষীরা জানান, সিরাজগঞ্জে এবছর প্রায় ২০ হাজার মৌ বক্স স্থাপন করা হয়েছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার অন্য যে কোন বছরের তুলনায় মধু সংগ্রহ বেশি হবে। সরিষা ক্ষেত থেকে সংগ্রহ করা মধু পাইকারী ২৫০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান মৌ চাষীরা।
আদর্শ মৌ খামারের মালিক শহিদুল ইসলাম জানান, ৩০০ টি মৌ-বক্স থেকে প্রতি সপ্তাহে ৮ থেকে ১০ মন মধু সংগ্রহ করা যায়। সরিষার ক্ষেত্রে মৌ-বক্স স্থাপনের কারণে সরিষার ফলনও বৃদ্ধি পায়। খাঁটি মধু ক্রয় করতে অনেকেই চলে আসেন মাঠে।
পাবনা থেকে আসা মৌ চাষী আশরাফুল ইসলাম জানান, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মধু সংগ্রহ করতে আসেন পাইকার ব্যাবসায়ীরা। তবে মধু সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়া যায় না।
মাঠে মধু কিনতে আসা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবছরই আমি মাঠে থেকে ভালোমানের মধু সংগ্রহ করি। এ বছর প্রায় ১০ কেজি মধু সংগ্রহ করব। এই মধু সারাবছর পরিবার নিয়ে ব্যবহার করি। মাঠ থেকে মধু কিনলে ভেজালমুক্ত মধু পাওয়া যায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসাণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. আবু হানিফ জানান, ‘এই মৌ বক্সের মধু থেকে কৃষকরা বাড়তি আয় করেন। পাশাপাশি খেতে মৌ বক্স স্থাপনে মৌ-মাছির পরাগায়নের মাধ্যমে ১০ শতাংশ ফলন বেশি হয়।
সান নিউজ/এসএ/এস