নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আবু বক্কর ছিদ্দিক (৬৪) নামে এক ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে আপন ছোট ভাই। ঘটনার পর থেকে ঘাতক ছোট ভাই হারুনুর রশীদ (৫০) পলাতক রয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম. এ. বারী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। একই দিন সকাল ১০টার দিকে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের তুলাচারা গ্রামের ছেলামত উল্যার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ছিদ্দিক একই গ্রামের হাজী ছেলামত উল্যার বাড়ির ছেলামত উল্যার ছেলে।
নিহতের মেজো ছেলে আবদুল্লাহ আল ফয়সাল অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবারা আট ভাই। আমরা আগে থেকে বাড়ির পাশে কিছু জমিতে ধান চাষ করে আসছি। আমার কাকা হারুনুর রশীদও পৃথকভাবে কিছু ক্ষেতে চাষাবাদ করে আসছে। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে হারুনুর রশীদ আমার বাবার দখলে থাকা ধান ক্ষেতে নিজে চাষাবাদ করবে বলে হুমকি দেয়। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বাড়ির সামনের গেটে বাবার সঙ্গে তাঁর ছোট ভাইয়ের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কাকা আমার বাবাকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে তিনি মারা যান।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবাকে দাফন করা হবে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম. এ. বারী আরও বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহতের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাননিউজ/আরআরপি