যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে সেবা নিতে গিয়ে এক সেবাগ্রহীতা ভূমি অফিসের সার্টিফিকেট সহকারী মো. হাদিউজ্জামানের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনায় ওই সেবাগ্রহীতা মুজিবুর রহমান কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও যশোর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কেশবপুর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মুজিবুর রহমান একটি মামলা-সংক্রান্ত নথির অনুলিপি সংগ্রহের জন্য ১৯ আগস্ট ও ১৫ অক্টোবর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে আবেদন করেন। কিন্তু বারবার যোগাযোগ করেও তিনি অনুলিপির কপি পাননি।
মুজিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, কেশবপুর ভূমি অফিসের সার্টিফিকেট সহকারী মো. হাদিউজ্জামান ওই নথির কপি দিতে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। মুজিবুর রহমান তাঁর চাহিদা অনুযায়ী ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু বাকি টাকা না দেওয়ায় তাঁকে ঘোরাতে থাকেন হাদিউজ্জামান।
মুজিবুর রহমান আরও অভিযোগ করেন, সর্বশেষ গত সোমবার তিনি কার্যালয়ে গিয়ে অনুলিপির কপি চাইলে সার্টিফিকেট সহকারী হাদিউজ্জামান তাঁর জামার কলার ধরে মারধর করেন এবং দা দিয়ে কেটে ফেলার হুমকি দেন। একই সঙ্গে তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাঁকে জেলে পাঠানোর হুমকিও দেন। এই ঘটনায় তিনি সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
মুজিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “জীবনে এভাবে অপমানিত হব, ভাবতেই পারিনি। ওই ঘটনার পর থেকে রাতে ঘুমাতে পারছি না। মানসিকভাবে খুব ভেঙে পড়েছি।”
অভিযুক্ত হাদিউজ্জামান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি মুজিবুর রহমানকে কোনোভাবেই মারধর করিনি এবং ২০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার কথাও সত্য নয়। তার মামলাটি খারিজ হয়ে যাওয়ায় সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে এমনটি করছেন।”
কেশবপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ নেওয়াজ বলেন, “আমি বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগকারীকে ডেকে বিস্তারিত শুনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেক্সোনা খাতুন বলেন, “সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর মাধ্যমে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
সাননিউজ/আরপি