পাহাড়ের আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠনগুলো বিভিন্নভাবে নিয়মিত চাঁদাবাজির মাধ্যমে অর্থ আদায় করে, যা অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহে ব্যবহৃত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অডিটোরিয়ামে এক মতবিনিময় সভায় খাগড়াছড়ি ২০৩ ব্রিগেডের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. হাসান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা, ঠিকাদার, শিক্ষক এমনকি সাধারণ মানুষের কাছ থেকেও চাঁদা আদায় করছে। চাঁদাবাজির অর্থ শেষ পর্যন্ত ব্যবহৃত হচ্ছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহে। যা পার্বত্য এলাকার শান্তি–সম্প্রীতির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। পাশাপাশি পাহাড়ের উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করছে।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে রিজিয়ন কমান্ডার বলেন, “কেউ চাঁদা নিতে এলে ‘সেনাবাহিনীর নিষেধ রয়েছে’ বলে চাঁদাবাজদের হুঁশিয়ারি করতে বলেন। আজ থেকেই চাঁদা দেওয়া বন্ধ করুন। আপনাদের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং জীবনের নিরাপত্তা রক্ষা আমরা নিশ্চিত করবো।”
পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রাখতে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানান সভায় অংশ নেওয়া ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। পাহাড়ের শান্তি, সম্প্রীতি এবং স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখতে ব্রিগেড কমান্ডার সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সাননিউজ/আরপি