নিজস্ব প্রতিবেদক: মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৮তম জন্মদিন আজ। ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোরের কেশবপুর উপজেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামের দত্ত পরিবারে জন্ম নেন তিনি।
এদিকে দেশে করোনা পরিস্থিতির কারণে মধুসূদন দত্তের জন্মদিনে মধুমেলা বা বিস্তৃত কোনো আয়োজন থাকছে না। তবে সামাজিক দূরত্ব মেনে সীমিত পরিসরে একদিনের জন্য কর্মসূচি উদযাপিত হবে। এর মধ্যে মহাকবির প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সাগরদাঁড়ির মধুমঞ্চে কবির জীবনীর ওপর আলোচনা সভা।
মহাকবির পিতা রাজনারায়ণ দত্ত ছিলেন জমিদার। মা ছিলেন জাহ্নবী দেবী। মধুসূদন দত্তের প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় মা জাহ্নবী দেবীর কাছ থেকে। ১৩ বছর বয়সে মদুসূদন দত্ত কলকাতা চলে যান, সেখানে স্থানীয় একটি স্কুলে কিছুদিন পড়াশোনা করেন তিনি। সে সময়কার হিন্দু কলেজে (বর্তমানে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়) ভর্তি হন মধুসূদন।
তিনি বাংলা, ফরাসি ও সংস্কৃত ভাষায় শিক্ষা গ্রহণ করেন। পরে কলকাতার বিশপস কলেজে অধ্যয়ন করেন তিনি। সেখানে গ্রিক, ল্যাটিন ও সংস্কৃত ভাষা শেখেন। পরবর্তীতে আইনশাস্ত্রে পড়ার জন্য ইংল্যান্ডে যান মাইকেল।
মদুসূদন দত্ত বাংলা ভাষায় সনেট এবং অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক। তিনি বাংলা সাহিত্যের পাশাপাশি ইংরেজি সাহিত্যেও অসামান্য অবদান রাখায় বিশ্ববাসী এ কবিকে মনে রেখেছে কৃতজ্ঞচিত্তে। তার সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রামায়ণের উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত মেঘনাদবধ কাব্য নামক মহাকাব্য।
তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো- দ্য ক্যাপটিভ লেডি, শর্মিষ্ঠা, কৃষ্ণকুমারী (নাটক), পদ্মাবতী (নাটক), বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ, একেই কি বলে সভ্যতা, তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য, বীরাঙ্গনা কাব্য, ব্রজাঙ্গনা কাব্য, চতুর্দশপদী কবিতাবলী, হেকটর বধ।
আরও পড়ুন : তাসের চার রাজা’র একজনের গোঁফ না থাকার রহস্য
১৮৭৩ সালে ২৯ জুন কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলার এ মহাকবি। মাইকেল মধুসূদন দত্তকে কলকাতায় সমাধিস্থ করা হয়।
সাননিউজ/এমএসএ