নিজস্ব প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম : দুটি কন্টেইনারে করে মালয়েশিয়ায় প্রায় ২২ টন খাদ্যসামগ্রী রফতানি করতে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে বাংলা ফুড এন্ড বেভারেজ লিমিটেড।
১ লাখ ৩ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানির জন্য রফতানিকারকের পক্ষে বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল করে চট্টগ্রামের সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান আর ইসলাম এজেন্সি।
বুধবার ( ২৩ ডিসেম্বর) চালানটি জাহাজে তোলার আগে কনটেইনার দুটির সিল খুলে দেখা যায় এক টন মুড়ি, ড্রাই কেক, টোস্টের কার্টন। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায় বেসরকারি ইস্টার্ন লজিস্টিক ডিপোতে কনটেইনার দুটি আটক করা হয়।
কাস্টম কর্মকর্তাদের ধারণা, রফতানির আড়ালে অর্থপাচার, কালো টাকা সাদা করার কৌশল এবং সরকারের কাছ থেকে অবৈধ উপায়ে নগদ প্রণোদনা হাতিয়ে নিতে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান।
এ ঘটনায় কাস্টম আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে অর্থপাচারের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি তদন্ত করবে চট্টগ্রাম কাস্টমসের এন্টিমানি লন্ডারিং শাখা।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম বলেন, ‘ডিপো কর্তৃপক্ষ পণ্য কম থাকার বিষয়ে সঠিক কোনও উত্তর দিতে পারেনি। হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে কালো টাকা পাঠিয়ে রফতানির নামে সাদা করার চেষ্টা করেছে রফতানিকারক।
এ ছাড়া রফতানি বাণিজ্যকে উৎসাহ দিতে খাদ্যসামগ্রী রফতানিতে সরকার নগদ প্রণোদনা দিয়ে থাকে। এসব সুবিধার অপব্যবহার করেছে বাংলা ফুড। জালিয়াতি করে প্রতিষ্ঠানটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ খাতকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করেছে।
সান নিউজ/এসএ